বরিশালে রোগী ধরা দালালরা অটোচাপা (ব্যাটারি চালিত থ্রি-হুইলার) দিয়ে সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি নেতাকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার (২৯ জুন) দুপুরে বরিশাল নগরীর জর্ডন রোডে এ ঘটনা ঘটে। 

নিহতের নাম গিয়াস উদ্দিন বাবুল মোল্লা (৫৫)। তিনি ২৭ নং ওয়ার্ডের মোল্লা বাড়ির মৃত আকরাম মোল্লার ছেলে এবং একই এলাকার সাবেক কাউন্সিলর। তিনি মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান ফারুক। তিনি জানান, জর্ডন রোডে গেইন ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ফিজিওথেরাপি সেন্টারে দালালরা অটো রিকশায় রোগী নিয়ে আসেন। রোগীরা সদর রোডের ডা. অমিতাভ সরকারের কাছে যেতে চাইলেও তাদের ভুল বুঝিয়ে দালালরা এখানে নিয়ে আসেন। 

এসব কথা যখন হচ্ছিল তখন পাশ দিয়ে বড় ভাইয়ের বাসায় যাচ্ছিলেন গিয়াস উদ্দিন বাবুল মোল্লা। তিনি রোগীদের জানান, গেইন ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ফিজিওথেরাপি সেন্টারে ডা. অমিতাভ সরকার বসেন না। এ ছাড়া দালালদের এমন কাজ না করার জন্য বলেন তিনি।

এতে ক্ষিপ্ত হয়ে গেইন ডায়াগনস্টিক অ্যান্ড ফিজিওথেরাপি সেন্টারের মালিক ও দালালরা মিলে তাকে লাঞ্ছিত করেন। তখন তিনি কোতয়ালী মডেল থানায় বিষয়টি অবহিত করেন। এ নিয়ে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে দালালরা গিয়াস উদ্দিন বাবুল মোল্লাকে চলন্ত অটো দিয়ে চাপা দেন।

মনিরুজ্জামান ফারুক বলেন, বাবুল মোল্লাকে দালাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। আমরা এই ঘটনার বিচার চাই।

মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব অ্যাডভোকেট মীর জাহিদুল কবির জানান, বাবুল মোল্লা দালালদের চ্যালেঞ্জ করে পুলিশে ফোন করলে অটোচালক পালানোর চেষ্টা করে বাবুল মোল্লাকে চাপা দেন। অটোর চাপায় অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা কোতয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মেহেদী হাসান জানান, ঘটনার তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষে প্রকৃত ঘটনা কী তা জানা যাবে।

কোতোয়ালি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) লোকমান হোসেন জানান, এমন একটি ঘটনা আমরা শুনেছি। তবে কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। 

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরআই