রংপুরে কোরবানির পশুর মাংস কাটার সরঞ্জাম নেওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে মাইক্রোবাসের ধাক্কায় মাহমুদুল হাসান (২৩) নামে এক মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করেছে। কিন্তু দুর্ঘটনার পর মাইক্রোবাসসহ  ঘাতক চালক পালিয়ে যাওয়ায় তাকে আটক করতে পারেনি পুলিশ।

রোববার (১০ জুলাই) সকালে রংপুর মহানগরীর বুড়িরহাট রোড পাকারমাথা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই ওই মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়।

নিহত মাহমুদুল হাসান গঙ্গাচড়া সরকারি কলেজের অনার্স তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী। পাশাপাশি অনলাইন ব্যাংকিং সেবা প্রতিষ্ঠান বিকাশে চাকরি করতেন। তার বাবা পুলিশ সদস্য আব্দুল মান্নান, রংপুর নগরীর কেরানীপাড়া এলাকায় থাকেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকাল সাড়ে ৭টায় রংপুর পুলিশ লাইন্স মসজিদ মাঠে ঈদজামাতে তার বাবার সঙ্গে নামাজ পড়েন মাহমুদুল হাসান। সেখান নামাজ শেষে মোটরসাইকেলে করে কোরবানির পশু জবাই করতে চাচার বাড়ি পরশুরামে যান। কোরবানি শেষে মাংস কাটার জন্য প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম নিতে মোটরসাইকেলে করে কেরানীপাড়ায় আসার পথে পাকারমাথা নামকস্থানে একটি মাইক্রোবাসের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই মোটরসাইকেল আরোহী মাহমুদুল হাসান মারা যান। এ ঘটনায় মাইক্রোবাসসহ চালক পলাতক রয়েছে।

নিহতের বাবা পুলিশ সদস্য আব্দুল মান্নান বলেন, কোরবানির পশু কাটাকাটির এক পর্যায়ে জানতে পারি মাহমুদুল রোড এক্সিডেন্ট করেছে। কিন্তু ছেলে যে কখন মোটরসাইকেল নিয়ে বাড়ির দিকে গিয়েছিল, আমি তা জানতাম না। এই মৃত্যু কষ্টের, আমরা বাবা-ছেলে একসঙ্গে সকালে ঈদজামাতে নামাজ পড়েছি।

রংপুর মেট্রোপলিটন কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) হোসেন আলী জানান, মাইক্রোবাস চালক পলাতক রয়েছেন। নিহতের মরদেহ রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। পরে সেখান থেকে নিহতের পরিবারের কাছে মরদেহ হস্তান্তর করা হয়।

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরআই