স্বাধীনতার সুতিকাগার ও ঐতিহ্যবাহী মেহেরপুরকে জন-নিরাপদ জনপদ ও দৃষ্টি নন্দন জেলা হিসেবে গড়ে তুলতে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন। ডিজিটালাইজড বাংলাদেশে মেহেরপুর জেলা এক ধাপ এগিয়ে। জেলার আরও উন্নয়ন করতে হলে সকলের সহযোগিতা ও পরিবর্তনের মানসিকতা থাকলে বর্তমান উন্নয়নশীল সরকারের হাত দিয়েই মেহেরপুর জেলা হবে জননিরাপদ ও দৃষ্টি নন্দন। আর এমন কাজ বাস্তবায়নে একক ইচ্ছাই সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন জন প্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন দোদুল।

তিনি বলেন, বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর মেহেরপুর ভৈরব নদীর অনেকাংশ খনন হয়েছে। ভৈরব নদী খননের ফলে অনেক মানুষ মৎস্যজীবী হয়ে জীবন সংসার পরিচালনা করছেন। ফলে এলাকায় চুরি ডাকাতি বন্ধ হয়েছে। 

প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, ভৈরব নদীর ওপর জেলার অনেক পরিবার নির্ভশীল হয়ে পড়েছে। তাই ভৈরব নদীতে পাট পচানো যাবে না। পাটের পচা গন্ধে পানি দুষিত হয়ে দেশীয় প্রজাতির মাছ হারিয়ে যাচ্ছে। যারা আইন অমান্য করে ভৈরব নদীতে পাট পচাবেন তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানান তিনি। রাস্তার ধারে ডোবা অথবা পাটের জমিতেই গর্ত করে পাট পঁচানোর পরামর্শ দেন তিনি। 

মেহেরপুর সদর উপজেলার চারটি ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের শপথগ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি, বারাদি, পিরোজপুর ও শ্যামপুর ইউনিয়নের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান ও সদস্যদের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বুধবার (১৩ জুলাই) বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক ড মুনসুর আলম খান চেয়ারম্যানদের শপথ পাঠ করান। 

একই সঙ্গে ৪টি ইউনিয়নের সংরক্ষিত মহিলা আসন ও সাধারণ সদস্যদের শপথ পাঠ করান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান রিপন।

শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন মেহেরপুর পৌর মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, গাংনী পৌর মেয়র আহমেদ আলী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিরুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক।

আকতারুজ্জামান/এমএএস