একরামুলের নির্দেশে সাংবাদিক হত্যা, বললেন কাদের মির্জা
পৌরসভার রূপালী চত্বরে সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যার প্রতিবাদে ডাকা শোকসভা ও সমাবেশ
নোয়াখালীর বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা বলেছেন, এমপি একরামুল করিম চৌধুরীর নির্দেশে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কিরকে হত্যা করেছে বাদল বাহিনীর সন্ত্রাসীরা। একই সঙ্গে নোয়াখালীর ঘটনার কলকাঠি নাড়ছেন এমপি একরামুল করিম চৌধুরী ও নিজাম উদ্দিন হাজারী।
তিনি বলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল ও তার বাহিনীর গুলিতে তরুণ সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির নিহত হয়েছেন। মুজাক্কির হত্যায় জড়িতদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনতে হবে।
সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টার দিকে পৌরসভার রূপালী চত্বরে সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যার প্রতিবাদে ডাকা শোকসভা ও সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
বিজ্ঞাপন
কাদের মির্জা বলেন, যারা আমাকে জড়িয়ে ষড়যন্ত্র করছেন, ভুল করছেন। একরামুল করিম চৌধুরী ও নিজাম উদ্দিন হাজারী মূলত বাদল ও রাহাতকে দিয়ে এখানে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি করতে চাচ্ছেন। তারা এখানের লোকজনকে উসকানি দিচ্ছেন। আজকেও বাদলকে ফোন দিয়েছেন নিজাম হাজারী। এসব দেখে মনে হয়, ঠাকুর ঘরে কে রে, আমি কলা খাই না।
তিনি বলেন, আমার সমাবেশস্থলে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন ইউএনও। অথচ দাগনভূঁইয়া দুধমুখা ও টেকের বাজারে সমাবেশের অনুমতি দিয়েছেন। সেখানে বাদল সমাবেশ করেছেন।
বিজ্ঞাপন
কাদের মির্জা আরও বলেন, এই দেখেন; নেত্রী মেসেজ দিয়েছেন। বিশেষ বার্তা পাঠিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আমি তার সঙ্গে দেখা করতে যাব। নেত্রী আমার রাজনীতির শেষ ঠিকানা। তিনি যা বলবেন, তাই মানব। দেখা করার পর তিনি যে নির্দেশনা দেবেন, সে অনুযায়ী কাজ করব।
নিজাম উদ্দিন হাজারীর ফোন দেওয়ার বিষয়ে জানতে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বাদলকে একাধিকবার ফোন দিলেও ধরেননি।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) রবিউল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, রূপালী চত্বরে সমাবেশ করেছেন মেয়র আবদুল কাদের মির্জা। টেকের বাজারে প্রতিবাদ সভা করেছেন মিজানুর রহমান বাদল। কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
হাসিব আল আমিন/এএম