কুয়াকাটায় পরিবহন শ্রমিকদের হামলায় তিন পর্যটক আহত
কুয়াকাটায় পরিবহন শ্রমিকদের হামলায় তিন পর্যটক আহত হয়েছেন। এ সময় মারধরের ভিডিও করায় মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তা ভেঙে ফেলেন শ্রমিকরা। শনিবার বিকেল ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, নরসিংদীর বাবুর হাট থেকে আসা রুবেল নামে এক ব্যবসায়ী তার পরিবারের আট সদস্যকে নিয়ে বরিশাল থেকে বাসযোগে কুয়াকাটা আসেন। বাসে দাঁড়িয়ে থাকা নিয়ে চালক ও তার সহযোগীর সঙ্গে তার কথা কাটাকাটি হয়। পরে বাসটি কুয়াকাটায় পৌঁছালে তাদের মারধর করা হয়। একপর্যায় পর্যটক রুবেলের আড়াই ভরি ওজনের স্বর্ণের চেইন খোয়া যাওয়ার অভিযোগ করা হয়েছে। আহত পর্যটকরা হলেন, মো. রুবেল, রিপন মাহমুদ ও মোসাম্মৎ হনুফা বেগম।
বিজ্ঞাপন
হামলার শিকার রুবেল জানান, তারা ৮ জন বরিশাল থেকে কুয়াকাটার উদ্দেশে ‘ছন্দা’ নামে একটি বাসে বেলা ১১টার দিকে ওঠেন। পথিমধ্যে রুবেলের সঙ্গে থাকা তার শিশু সন্তান অসুস্থ হয়ে পড়লে তার নির্ধারিত সিটে ওই শিশুকে শুইয়ে নিজে দাঁড়িয়ে থাকেন। এসময় বাসের কন্ডাক্টর এসে দাঁড়িয়ে থাকলে একজনের বাড়তি ভাড়া দিতে হবে বলে জানান। এ ঘটনার কিছু অংশ ভিডিও করেন রুবেল এবং পাশের সিটে বসা পর্যটক লক্ষ্মীপুর থেকে কুয়াকাটা ভ্রমণে আসা ওই বাসের যাত্রী রিপন মাহমুদ। কন্ডাক্টর মোবাইল ফোনে ভিডিও করায় হুমকি দিয়ে চুপ থাকেন। বিকেলে বাসটি কুয়াকাটায় এসে থামতেই বাস শ্রমিকরা সংঘবদ্ধভাবে পর্যটক পরিবারটির ওপর হামলা করে। ভিডিও করার অপরাধে মারধর করা হয় পর্যটক রিপন মাহমুদকে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে মহিপুর থানার এসআই মোজাম্মেল গিয়ে বাসের চালক মো. কামাল ও সুপারভাইজার জামালসহ ওই পর্যটকদের থানায় নিয়ে যান।
বাসচালক কামাল হামলার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘একটু কথা কাটাকাটি হয়েছে।’
বিজ্ঞাপন
পর্যটক রুবেল জানান, তাকে মারধর করে স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে। মোবাইলটিও ভেঙে ফেলা হয়েছে।
মহিপুর থানার ওসি মো. আবুল খায়ের ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, পর্যটক পরিবার লিখিত অভিযোগ দিতে অস্বীকার করায় আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া যায়নি। তবে আলোচনা করে ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
কাজী সাঈদ/এসকেডি