ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন বলেছেন, সিলেটে এবারের বন্যায় যত ঘর-বাড়ি ধ্বংস হয়েছে সেগুলো ঠিক জায়গায় বানানো হয়নি। পানি প্রবাহের রাস্তা বন্ধ করে বাড়িগুলো বানানো হয়েছে। প্রকৃতি কাউকে ক্ষমা করে না। প্রকৃতির সঙ্গে ইন্টারফেয়ার করতে নেই। তাই পানি তার ব্যবস্থা নিজেই নিয়ে নিয়েছে।

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার বাজে সতং গ্রামের হুররা নদীর ওপর নিজের উদ্যোগে ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন ৩৮তম ব্রিজ নির্মাণ করছেন। মঙ্গলবার (১৯ জুলাই) সন্ধ্যায় তার ৩৮তম ব্রিজ নিয়ে কথা বলার সময় ঢাকা পোস্টকে তিনি উপরোক্ত কথাগুলো বলেন।

ব্যারিস্টার সুমন তার নিজ উপজেলা চুনারুঘাটের প্রত্যন্ত অঞ্চলে এখন পর্যন্ত ৩৭টি পাকা সেতু নির্মাণ করেছেন। এখন উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের সতং গ্রামে হুরার নদীর ওপর নির্মাণাধীণ রয়েছে তার ৩৮তম ব্রিজটি। ব্রিজটির নির্মাণ কাজ অর্ধেকেরও বেশি হয়েছে। পুরো কাজ শেষ করে ব্রিজটি উদ্বোধন হতে আরও সপ্তাহ দেড়েক সময় লাগবে বলে জানান ব্যারিস্টার সুমন।

নিজের এলাকা চুনারুঘাটের প্রত্যন্ত গ্রামগুলোতে ব্যারিস্টার সুমনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় নির্মিত হচ্ছে একের পর এক সেতু। যে কারণে প্রান্তিক ওই এলাকার লোকজন উপকৃত হচ্ছেন।

আগামী সপ্তাহ দেড়েকের মধ্যে ব্রিজটির কাজ শেষ হবে বলে আশা প্রকাশ করে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, আমার এলাকার ব্যাপারে আমার কোনো দায়িত্বের ব্যাপারে আমি কিছুই ভুলি না। বিষয়টি এমন যে, আমাকে যদি মন্ত্রীও বানানো হয়, তবুও এলাকা ছাড়ব না।
ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের ৩৮তম ব্রিজের তদারকির দায়িত্বে রয়েছেন চুনারুঘাট উপজেলার প্রথম শ্রেণির ঠিকাদার নিজামুল হক চৌধুরী। 

তিনি জানান, চুনারুঘাট উপজেলার শানখলা ইউনিয়নের বাজে সতং গ্রামে হুররা নদীর ওপর প্রায় সাড়ে তিন লাখ টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মিত হচ্ছে। এই সেতুটি চালু হওয়ার পর শাকির মোহাম্মদ বাজার, বাজে সতংসহ আশপাশের প্রায় ৪/৫ হাজার মানুষ উপকৃত হবে। ব্রিজটি দিয়ে সিএনজি অটোরিকশার মতো যানও চলাচল করতে পারবে।

তিনি আরও জানান, প্রাকৃতিক কোনো সমস্যা না হলে ১ আগস্ট ব্রিজটি উদ্বোধন করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এমএএস