ময়মনসিংহের ত্রিশালে ট্রাকচাপায় নিহত মায়ের গর্ভ ফেটে আলৌকিকভাবে জন্ম নেওয়া সেই নবজাতকের পরিবারের খোঁজ নিতে তাদের বাড়িতে গেছে কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রতিনিধি দল। এ সময় ওই ঘটনায় নিহত তিনজনের কবর জিয়ারত করেন নেতা-কর্মীরা। 

বুধবার (২০ জুলাই) সকালে ত্রিশাল উপজেলার রায়মনি গ্রামে গিয়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সহমর্মিতা জ্ঞাপন করে সার্বক্ষণিক খোঁজ-খবর রাখার আশ্বাস দেন তিন সদস্যের প্রতিনিধি দলটি। পরে তারা ওই নবজাতক শিশুকে দেখতে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান।  

প্রতিনিধি দলের সদস‍্যরা হলেন বিএনপির মিডিয়া সেলের অন‍্যতম সদস্য আতিকুর রহমান রুমন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ব‍্যারিস্ট‍ার মীর হেলাল, নির্বাহী সদস‍্য (দপ্তরে সংযুক্ত) আবদুস সাত্তার পাটোয়ারী। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে নবজাতকের পরিবারের সঙ্গে দেখা করে খোঁজখবর নেওয়া হয়েছে বলে জানান তারা। 

এ সময় প্রতিনিধি দলের সঙ্গে ছিলেন যুবনেতা মাসুদ রানা লিটন, ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড‍্যাব) ময়মনসিংহ মহানগর শাখার সদস‍্য সচিব ও জিয়াউর রহমান ফাউন্ডেশনের কোর্ডিনেটর ডা. মো. সায়েম মনোয়ার, ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি ও কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক বিভাগীয় সহসভাপতি নাইমুল করিম লুইন।  

প্রসঙ্গত, গত ১৬ জুলাই বেলা পৌনে ৩টার দিকে ত্রিশালের কোর্টভবন এলাকায় একটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারে আলট্রাসনোগ্রাম করতে গিয়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে প্রাণ হারান অন্তঃসত্ত্বা রত্না আক্তার (৩২), তার স্বামী জাহাঙ্গীর আলম (৪০) এবং তাদের ছয় বছরের মেয়ে সানজিদা। তবে ওই সময় অলৌকিকভাবে মা রত্নার গর্ভ ফেটে ভূমিষ্ঠ হয় ফুটফুটে এক নবজাতক।

 নবজাতকটি ভূমিষ্ঠ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ছুটে যায় পুলিশ ও আশপাশের লোকজন। পরে শিশুটিকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়ার পর জানা যায় জীবিত আছে নবজাতক কন্যাটি।  

সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও উন্নত চিকিৎসার জন্য নবজাতকটিকে ময়মনসিংহ সদরের সিবিএমসি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে শিশু বিশেষজ্ঞ ডা. কামরুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে শিশুটি নগরীর লাবীব হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিল। 

এরপর তার জন্ডিসের লক্ষণ দেখা দেওয়ায় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন চিকিৎসক। বর্তমানে মমেক হাসপাতালের নবজাতক নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে শিশুটির (এনআইসিইউ) চিকিৎসা চলছে।

উবায়দুল হক/আরআই