অতিদরিদ্রদের জন্য ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক বাস্তবায়ন করা গুচ্ছগ্রাম প্রকল্পের ঘরের লোহার অ্যাঙ্গেল বিক্রির চেষ্টাকালে দুইজনকে আটক করেছে পুলিশ। মূলত ঘরের টিন ছিদ্র হয়ে পানি পড়া এবং অ্যাঙ্গেল জং ধরে ঘরে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে যাওয়ায় এগুলো বিক্রির চেষ্টা করেন বাসিন্দারা।

মঙ্গলবার (২৬ জুলাই) দুপুরে অ্যাঙ্গেলগুলো বিক্রির সময় নগরীর হাটখোলা থেকে অভিযান চালিয়ে সেগুলো উদ্ধার করে পুলিশ।

বিষয়টি ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী উপ-কমিশনার ফজলুল করীম। তিনি জানান, গুচ্ছগ্রামে ঘর তৈরিতে এই অ্যাঙ্গেল ব্যবহার করা হয়েছিল। ঘরের উপকারভোগীরাই সেগুলো খুলে বিক্রির জন্য বরিশালে এনেছেন। আমরা অভিযান চালিয়ে ৩২ পিস উদ্ধার করেছি। 

প্রতিটির ওজন ২৬ কেজি করে। এ ঘটনায় অ্যাঙ্গেল বিক্রি করতে আসা ছানাউল্লাহ এবং দোকানদার রিয়াজকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য কোতয়ালী থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।

মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলার চরগোপালপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শামসুল বারি মনির বলেন, দুপুরে জানতে পারি আমার ইউনিয়নের গুচ্ছগ্রামের ঘরের অ্যাঙ্গেল বিক্রি করতে গিয়ে দুজন আটক হয়েছেন। তারা সরকারি ঘরের অ্যাঙ্গেল বিক্রি করার চেষ্টা করে ভুল করেছেন। সাড়ে তিন বছর আগে ৮০ জন বাসিন্দার জন্য সরকার এই গুচ্ছগ্রাম করে দেয়।

তবে ঘরের টিন এবং অ্যাঙ্গেল স্ক্রু দিয়ে আটকানো ছিল। কিন্তু স্ক্রু লাগানোয় ত্রুটি থাকায় সেখান থেকে বর্ষায় পানি পড়ে অ্যাঙ্গেলগুলোতে জং ধরে গেছে। এ ছাড়া পানি পড়ে পুরো ঘর থাকার অনুপযোগী হয়ে যায়। এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে সেখানের বাসিন্দারা অ্যাঙ্গেল খুলে কাঠের অ্যাঙ্গেল দিয়ে বৃষ্টির পানি ঠেকিয়েছে।

মেহেন্দীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নূরুননবী বলেন, গুচ্ছগ্রামটি ২০১৫-১৬ অর্থ বছরের অর্থ মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়নকৃত প্রকল্প। অ্যাঙ্গেল বিক্রির খবর পেয়েই মামলা দায়েরের জন্য পুলিশকে বলেছি। 

এ ছাড়া আমি তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দিয়েছি। যে কমিটি ৭ কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করবে। তিনি বলেন, আমি জেনেছি ঘরে পানি পড়ায় বাসিন্দারা লোহার অ্যাঙ্গেল খুলে সেখানে নিজেরা কাঠ দিয়েছেন এবং লোহার অ্যাঙ্গেলগুলো বিক্রির চেষ্টা চালিয়েছেন। 

সৈয়দ মেহেদী হাসান/আরআই