খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলা থেকে প্রায় ১৫০ কেজি অপদ্রব্য (বিষাক্ত জেলি) পুশ করা চিংড়ি জব্দ করেছে র‌্যাব-৬ সদস্যরা। চিংড়িতে অপদ্রব্য পুশের অপরাধে কোম্পানির ২ জনকে অর্থদণ্ড ও একজনকে কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। বুধবার (২৭ জুলাই) বিকেলে র‌্যাব-৬ খুলনার একটি আভিযানিক দল ডুমুরিয়া বাজারে এ অভিযান পরিচালনা করে।

ডুমুরিয়া উপজেলার সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুবকর সিদ্দিক ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বিকেলে অভিযান পরিচালনা করে ২ জনকে জরিমানা ও একজনকে তিন দিনের কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। এ ছাড়া জব্দ অপদ্রব্য পুশ করা প্রায় ১৫০ কেজি চিংড়ি গাড়ির চাকায় পিষ্ট করে বিনষ্ট করা হয়। পরে সেগুলো মাটিতে পুঁতে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বুধবার রাতে র‌্যাব-৬ সদর দপ্তরের পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় জেলার ডুমুরিয়া বাজারে মেসার্স মুক্তা ফিস নামক দোকানে কতিপয় অসাধু ব্যবসায়ী অবৈধভাবে চিড়িং মাছে অপদ্রব্য পুশ করছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে আভিযানিক দলটি সহকারী কমিশনার ভূমি এবং সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তার সহযোগিতায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে। এ সময় অবৈধভাবে চিংড়ি মাছে অপদ্রব্য (জেলি) পুশ করার দায়ে সংশ্লিষ্ট অসাধু ব্যবসায়ীদের ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪২ ধারা মোতাবেক জেল-জরিমানা করা হয়।

এর মধ্যে ডুমুরিয়ার সবুরীকে ৫০০ টাকা ও মনোয়ারাকে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া অপর মো. আব্দুল লতিফ বিশ্বাসকে (৪০)৩ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার সময় ওই দোকান থেকে অপদ্রব্য পুশ করা ১৫০ কেজি চিংড়ি, ১০ কেজি অপদ্রব্য (জেলি) এবং জেলি পুশ করার বিভিন্ন সরঞ্জামাদি জব্দ করা হয়। 

জব্দকৃত অপদ্রব্য পুশ করা চিড়িং মাছ ও জেলি পুশের সরঞ্জামাদি সহকারী কমিশনার ভূমি ও সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার উপস্থিতিতে ধ্বংস করা হয়। জরিমানার অর্থ সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তি তাৎক্ষণিক প্রদান করায় সরকারি কোষাগারে জমা করা হয় এবং কারাদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিকে খুলনা কেন্দ্রীয় কারাগারে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মোহাম্মদ মিলন/আরআই