দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া কয়লা খনির ৫২ শ্রমিক করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। এ কারণে কয়লা উত্তোলন সাময়িকভাবে বন্ধ করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

প্রায় তিন মাস খনিতে কয়লা উত্তোলন বন্ধ থাকার পর নতুন একটি কূপ থেকে পরীক্ষামূলক উত্তোলন শুরুর তিন দিনের মাথায় এ পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হলো কর্তৃপক্ষ।

বড়পুকুরিয়া কোল মাইনিং কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুল ইসলাম সরকার ঢাকা পোস্টকে মুঠোফোনে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

জানা গেছে, করোনা পরীক্ষা করার জন্য ২৯২ জন চীনা শ্রমিক এবং ১০৫ জন বাংলাদেশি শ্রমিকের নমুনা নেওয়া হয়। এর মধ্যে চীনা ৩৪ জন এবং বাংলাদেশি ১৬ জন শ্রমিকের রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপরই কয়লা উত্তোলন বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়।

উল্লেখ্য প্রায় তিন মাস বন্ধ থাকার পর গত বুধবার (২৭ জুলাই) খনির নতুন ফেজ থেকে পরীক্ষামূলকভাবে কয়লা উত্তোলন শুরু হয়। এতে কয়লা সংকটের কারণে বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুৎকেন্দ্রের বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যাহত হওয়া এবং উত্তরাঞ্চলে অতিরিক্ত লোডশেডিং হওয়ার যে শঙ্কা তৈরি হয়েছিল তা দূর হবে বলে আশা করেছিল খনি কর্তৃপক্ষ।

কিন্তু করোনার আঘাতে এ পরিকল্পনা বাধাপ্রাপ্ত হলো। দেশে জ্বালানি সংকটের এই সময়ে আরেকবার পিছিয়ে গেল কয়লা উত্তোলন।

গত ১ মে খনির ১৩১০ নম্বর ফেজ (কূপ) থেকে কয়লা উত্তোলন শেষ হলে ওই কূপটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়। সেখান থেকে নতুন ফেজে যন্ত্রপাতি স্থানান্তর করা হয়। আগস্টের মাঝামাঝি খনির নতুন (১৩০৬ নম্বর) ফেজ থেকে কয়লা উত্তোলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল। যা নির্ধারিত সময়ের ২০ দিন আগেই গত বুধবার উদ্বোধন করা হয়। পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে নতুন কূপ থেকে কয়লা উত্তোলন কাজের উদ্বোধন করেন।

ইমরান আলী সোহাগ/এসপি/জেএস