কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীতে নিখোঁজের চার দিন পর আব্দুর রাজ্জাক বাচ্চু (৪০) নামের এক ব্যক্তির গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় গত শুক্রবার রাত ১০টার দিকে থানায় হত্যা মামলা করেছে নিহতের স্ত্রী। পরে রাতেই দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন একই এলাকার আব্দুর রহমানের ছেলে আবু মুছা (৪০) ও মৃত হাসেম আলীর ছেলে আল-আমিন (৩৫)। নিহত বাচ্চু নাগেশ্বরী পৌরসভার বদিজমাপুর এলাকার মৃত কয়ছার আলীর ছেলে।

পুলিশ ও স্বজনরা জানান, গত ২৫ জুলাই বিকেলে আব্দুর রাজ্জাক বাড়ির পাশের নিজের ক্ষেতের পাট কাটতে গিয়ে নিখোঁজ হন। পরে খোঁজাখুঁজি করতে গিয়ে ওই পাটক্ষেতে রক্ত ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে দেখতে পান তারা। এ ঘটনায় পরদিন থানায় নিখোঁজের জিডি করেন স্বজনরা।

এরপর বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে পৌরসভার পয়রাডাঙ্গা এলাকার মসলিয়ার বিলে এলাকাবাসী মরদেহের অংশবিশেষ দেখতে পেয়ে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে। পরদিন শুক্রবার সকালে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম মর্গে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় ওই দিন দুজনকে আটক করে পুলিশ। পরে শুক্রবার রাতে নিহতের স্ত্রী লিপি খাতুন (৩২) বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা করলে রাত ১০টার দিকে আবু মুছা ও আল-আমিনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আশরাফুদ্দৌলা বলেন, আবু মুছার সঙ্গে নিহত আব্দুর রাজ্জাকের বড় ভাইয়ের আর্থিক লেনদেন ও জমিজমা-সংক্রান্ত জের ছিল বলে পুলিশকে মৌখিক জবানবন্দি দিয়েছিল গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা। তবে তাদের কোর্টে আনা হয়েছে। বাকিটা কোর্ট দেখবে।

নাগেশ্বরী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নবীউল হাসান বলেন, এ ঘটনায় দুজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেছেন নিহতের স্ত্রী। দুজনকেই গ্রেপ্তার করে শনিবার সকালে কোর্টে চালান করা হয়েছে।

মো. জুয়েল রানা/এনএ