সাতক্ষীরার শ্যামনগরে শিক্ষকের পিটুনিতে পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর হাত ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সহকারী শিক্ষকের বিরুদ্ধে। গত সোমবার (১ আগস্ট) উপজেলার বুড়িগোয়ালিনী ইউনিয়নের ১০৩ নম্বর সেন্ট্রাল আবাদ চণ্ডীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে।

পঞ্চম শ্রেণির ওই ছাত্রী আনিশা খাতুন (১১) আবাদ চণ্ডীপুর গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে।

আহত ছাত্রীর বাবা আবুল হোসেন বলেন, বাড়িতে এসে মেয়ে আমাকে বলে, ‘স্যার আমাকে মেরেছে। আমার হাতে প্রচুর যন্ত্রণা হচ্ছে।’ অবস্থা বেগতিক দেখে আমি তাৎক্ষণিক স্থানীয় ডাক্তারকে দেখালে তিনি ভালো ডাক্তার দেখানোর পরামর্শ দেন। পরবর্তীতে মেয়েকে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করি। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার হাতের এক্স-রে রিপোর্টে দেখে বলেন বাম হাতের কবজির দুইটা হাড় ভেঙে গেছে।

আনিশার মা শাহানা পারভীন বলেন, আমি এই স্কুলের বিদ্যোৎসাহী সদস্য। বিগত দিনে অভিযুক্ত সহকারী শিক্ষক এস এম শহিদুল ইসলামকে বারবার সতর্ক করেছি। কিন্তু তিনি কাউকে তোয়াক্কা করেন না।

এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক এস এম শহিদুল ইসলাম বলেন, স্কুলে নতুন ভবন নির্মাণের কাজ পরিদর্শন করতে এসেছিলেন সংশ্লিষ্টরা। আমি বাচ্চাদের ক্লাসে যেতে বলেছিলাম কিন্তু কেউই কথা শুনছিল না। তখন আমি লাঠি দিয়ে কয়েকজন মেয়েকে বাম হাত দিয়ে মেরেছি। কিছুদিন আগে মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় ডান হাতে ব্যথা পেয়েছি। এখনো ব্যান্ডেজ দেওয়া আছে। বাম হাত দিয়ে মেরেছি, তাতে এমন ঘটনা হওয়ার কথা নয়। স্থানীয় শত্রুতার শিকার হচ্ছি আমি।

চণ্ডীপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৌভিক রায় বলেন, ঘটনার দিন আমি মাসিক মিটিংয়ে ছিলাম। এটা দুঃখজনক। বিষয়টা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

শ্যামনগর উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রমিজ মিয়া বলেন, বুধবার (৩ আগস্ট) ঘটনাটি আমি জেনেছি। অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিতে বলা হয়েছে। ঘটনার সত্যতা পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আকরামুল ইসলাম/এনএ