জয়পুরহাটের আক্কেলপুর পৌরসভার সাবেক মেয়র ও জেলা আ.লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাহফুজ চৌধুরী ওরফে অবসর জামিনে মুক্ত পেয়েছেন। অবৈধভাবে সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগে দুদকের করা মামলায় তাকে কারাগারে পাঠিয়েছিলেন আদালত। 

৬৪ দিন হাজতে থাকার পর বুধবার (৩ আগস্ট) বিকেলে বগুড়া জেলা কারাগার থেকে তিনি জামিনে মুক্তি পেয়ে বেরিয়ে আসলে উচ্ছ্বসিত দলীয় নেতাকর্মী ও সমর্থকরা তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

তিনি সেখান থেকে হুড খোলা মাইক্রোবাসে করে জয়পুরহাট শহরের আসেন। তার মাইক্রোবাসের সামনে কয়েকশ মোটরসাইকেল এবং পেছনে বাস-ট্রাকে নেতাকর্মীরা ও সমর্থকরা ছিলেন। তিনি রাত ৮টার পর জয়পুরহাট শহরের শহীদ ডা. আবুল কাশেম ময়দানে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

গোলাম মাহফুজ চৌধুরী অভিযোগ করে বলেন, কালাই উপজেলার পুনট পৌঁছালে সেখানে পুলিশের উপস্থিতিতে তার গাড়িবহরে অতর্কিতভাবে হামলা চালানো হয়। এতে বেশ কয়েকটি মোটরসাইকেল, ট্রাক ও বাস ভাঙচুর হয়েছে।

জানতে চাইলে কালাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এসএম মঈনুদ্দিন ঢাকা পোস্টকে বলেন, গোলাম মাহফুজ চৌধুরী বিশাল গাড়িবহর নিয়ে জয়পুরহাটের দিকে যাচ্ছিলেন। সন্ধ্যায় পুনট এলাকায় তার গাড়ি বহরে কিছু লোক ইট পাটকেল ছুঁড়ে দ্রুত ফসলি মাঠ দিয়ে চলে গেছে। কারা এ ঘটনা ঘটাল তা জানা যায়নি। এতে কেউ আহত হননি।

দুদকের বগুড়া সমন্বিত জেলা কার্যালয় সূত্র জানায়, গোলাম মাহফুজ চৌধুরী ও তার স্ত্রী কামরুন্নাহারের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ছিল। অভিযোগের পর তাদের সম্পদের বিবরণী জমা দিতে বলে দুদকের বগুড়া সমন্বিত কার্যালয়। ২০১৯ সালের ৩১ জুলাই স্বামী-স্ত্রী হিসাব বিবরণী জমা দেন। সেই হিসাব বিবরণীর তথ্য অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। 

অনুসন্ধানে দেখা যায়, গোলাম মাহফুজ ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮২১ টাকা পরিমাণ স্থাবর সম্পদ অবৈধভাবে অর্জন করেন। এ ছাড়া তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে ৯৯ লাখ ১০ হাজার ৭৯৪ টাকার অসঙ্গতি পায় দুদক। অন্যদিকে মেয়রের স্ত্রী কামরুন্নাহার শিমুলের হিসেবেও অবৈধভাবে ১ লাখ ৬৫ হাজার ৮২১ টাকা অর্জনের তথ্য খুঁজে পাওয়া যায়। একইসঙ্গে তার জ্ঞাত আয়ের সঙ্গে ৩৬ লাখ ৭ হাজার ১৬৪ টাকার অসঙ্গতি পায় দুদক। এ ঘটনায় দুদকের মামলায় আটকের কয়েকদিন পর তার স্ত্রীসহ দুজনেই জামিন পেলেও একই ঘটনায় দুদকের আরেকটি মামলায় কারাগারে ছিলেন অবসর।

চম্পক কুমার/এসকেডি