মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাসে ডাকাতি করতে রাতে বের হয়েছিল ডাকাত দলের সদস্যরা। এজন্য সিরাজগঞ্জ অংশে মহাসড়কের কয়েকটি পয়েন্টে ঘণ্টাখানেক দাঁড়িয়েছিল তারা। এরপর কুষ্টিয়া থেকে ছেড়ে আসা নারায়ণগঞ্জগামী ঈগল এক্সপ্রেসের বাসে উঠে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটায় ডাকাত দলের সদস্যরা। গ্রেপ্তার তিন ডাকাত প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশের কাছে এমন তথ্য দিয়েছে। 

গ্রেপ্তার ডাকাতদের বরাত দিয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার সরকার মোহাম্মদ কায়সার বলেন, ডাকাত দলের সদস্যরা সিরাজগঞ্জ অংশে মহাসড়কে অনেকগুলো বাস থামানোর চেষ্টা করে। কিন্তু কোনো বাসই দাঁড়ায়নি। প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা করার পর ঈগল এক্সপ্রেস বাসটি থামে। বাসটিতে তেমন যাত্রী না থাকায় সিটগুলো ফাঁকা ছিল। তারা একাধিক গ্রুপে ভাগ হয়ে ডাকাতির কাজ করেছে। তবে তারা সবাই সবাইকে চেনে না। চারজন চারজনকে চিনে আবার বাকি চারজন চারজনকে চিনে।

কিন্তু ১০ জনকে ১০ জন চিনে না। একেকজনের অভিজ্ঞতা একেক রকম। এই গ্রুপটা একেক সময় একেকজনকে নিয়ে কাজ করে। মূল হোতার নাম জানা গেছে। মামলা তদন্তাধীন রয়েছে। মূলহোতাকে ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে। সাময়িকভাবে মহাসড়ক ও অঞ্চলিক সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে এ ধরনের ঘটনা রোধ করা সম্ভব। 

তিনি আরও বলেন, বাসচালক, মালিকসহ সকলকে সচেতন হতে হবে। ডাকাতরা অনেকগুলো বাসকে সিগন্যাল দিয়েছে, কিন্তু দাঁড়ায়নি। ওই বাসটিও যদি না দাঁড়াতো তাহলে এমন ঘটনা ঘটতো না। টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ সড়কের মধুপুর পর্যন্ত ঘাটাইল ও কালিহাতী থানা রয়েছে। এই থানাগুলোতে নিরাপত্তার জন্য এখন থেকে ভিন্নভাবে কাজ করা হবে। আলাদা টিপসের মাধ্যমে পুলিশ সদস্যরা সড়কে কাজ করবে। যাতে করে সন্দেহমূলক গাড়িগুলোকে সিগন্যালের ব্যবস্থা করা যায়। ক্যামেরার মাধ্যমে বাসের যাত্রীদের ছবি তুলে রাখা হবে। 

এদিকে দুই দিনের অভিযানে টাঙ্গাইল সদর থেকে একজন ও গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকা থেকে দুইজন ডাকাতকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এদের মধ্যে রাজা মিয়া নামে একজনকে পাঁচদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। বাকি দুইজনকে রিমান্ড চেয়ে শনিবার (৬ আগস্ট) রাতে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নেওয়া হলে তারা স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দী দেন। 

প্রসঙ্গত, গত ২ আগস্ট রাতে কুষ্টিয়া থেকে নারায়ণগঞ্জগামী ঈগল এক্সপ্রেস বাসে ডাকাতি ও ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

অভিজিৎ ঘোষ/আরএআর