সাংবাদিক মুজাক্কির হত্যার ঘটনাস্থলে পিবিআই
সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পিবিআই কর্মকর্তারা
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে সাংবাদিক বুরহান উদ্দিন মুজাক্কির হত্যা মামলা তদন্তের দায়িত্ব পেয়ে বুধবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে মামলার সব কাগজপত্র নোয়াখালী জেলা পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়।
বুধবার দুপুরে পিবিআই নোয়াখালীর পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সীর নেতৃত্বে তদন্ত দল ওই এলাকা পরিদর্শন করেন। এ সময় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ইন্সপেক্টর মোস্তাফিজুর রহমান উপস্থিত ছিলেন।
বিজ্ঞাপন
জানা গেছে, পিবিআই’র তদন্ত দলটি চাপরাশিরহাট পূর্ব বাজারের ঘটনাস্থল ও নিহতের বাড়িতে যান। তারা নিহতের পরিবারের সদস্য, স্থানীয় লোকজন ও সংঘর্ষের সময় কর্মরত পুলিশ সদস্যদের সাথে কথা বলেছেন।
এ বিষয়ে পিবিআইয়ের পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান মুন্সী বলেন, মামলার তদন্ত কর্মকর্তাসহ ঘটনাস্থল থেকে তথ্য, ফুটেজ নিয়েছি। আরও তথ্য সংগ্রহর করা হবে। আমরা এ মামলার নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু তদন্তের চেষ্টা করছি। আমরা দ্রুততম সময়ে এ মামলার তদন্ত সম্পন্ন করার চেষ্টা করব।
বিজ্ঞাপন
কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, ‘চাপরাশিরহাটে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের সময়ের ৬টি সিসি ক্যামেরার ফুটেজ, সাংবাদিক মুজাক্কিরের ব্যবহৃত ক্যামেরা, মোবাইল ও মানিব্যাগ উদ্ধার করে পিবিআইতে হস্তান্তর করেছি।’
প্রসঙ্গত, বসুরহাট পৌর মেয়র আবদুল কাদের মির্জার বিরুদ্ধে গত শুক্রবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে চাপরাশিরহাট বাজারে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিজানুর রহমান বাদল।
বাদলের মিছিলটি চাপরাশিরহাট বাজারে গেলে আবদুল কাদের মির্জার অনুসারীরা হামলা চালান। এ সময় দুই পক্ষকে দুই দিকে ধাওয়া করে এবং ফাঁকা গুলি ছুড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ।
এ ঘটনার কিছুক্ষণ পর কাদের মির্জার নেতৃত্বে শতাধিক অনুসারী মোটরসাইকেল ও গাড়িতে করে চাপরাশিরহাট বাজারে যান। একপর্যায়ে কাদের মির্জার সমর্থকেরা বাদলের বাড়িতে হামলা ও গুলি চালান।
এ সময় দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় সাংবাদিক মুজাক্কির গুলিবিদ্ধসহ অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। আহতদের প্রথমে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায় স্থানীয়রা। সন্ধ্যায় মুজাক্কিরকে নোয়াখালী হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই দিন রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পর তার মৃত্যু হয়।
এদিকে সাংবাদিক মুজাক্কিরের খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন জেলা-উপজেলায় কর্মরত সাংবাদিকরা। হত্যায় জড়িতদের সর্বোচ্চ শাস্তি দাবি করেন তারা।
এ ঘটনায় মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে নিহতের বাবা নোয়াব আলী মাস্টার বাদী হয়ে অজ্ঞাত পরিচয় একাধিক ব্যক্তিকে আসামি করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা করেন। ওইদিন রাতে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য পিবিআইতে হস্তান্তর করা হয়।
হাসিব আল আমিন/এমএসআর