রংপুরের পীরগঞ্জ উপজেলার মাঝিপাড়ায় হিন্দু সম্প্রদায়ের ঘর-বাড়িতে অগ্নিসংযোগ, ভাঙচুর, লুটপাটের মামলায় দীর্ঘ ৯ মাস পর প্রধান আসামি শহিদুজ্জামান মণ্ডল ওরফে শহিদসহ ৫১ জনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

রোববার (৭ আগস্ট) দুপুরে রংপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত-১ এর বিচারক এসএম শফিকুল ইসলামের আদালতে আসামিরা আত্মসমর্পন করে জামিন আবেদন করলে বিচারক তাদের জামিন নামঞ্জুর করে সবাইকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর (রোববার) রাতে ধর্ম অবমাননার অভিযোগ তুলে পীরগঞ্জের রামনাথপুর ইউনিয়নের বড়করিমপুর মাঝিপাড়া গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে উগ্রবাদীরা। এ ঘটনায় গ্রামটির ১৫টি পরিবারের ২১টি বাড়ির সবকিছু আগুনে পুড়ে যায়। সব মিলিয়ে অন্তত ৫০টি বাড়িতে ভাঙচুর ও লুটপাট করা হয়। হামলাকারীরা গরু-ছাগল, অলংকার ও টাকা নিয়ে যায় বলে দাবি করেছিলেন ক্ষতিগ্রস্তরা।

এ ঘটনায় পীরগঞ্জ থানায় করা ৪টি মামলা হয়। এর মধ্যে উপপরিদর্শক ইসমাইল হোসেন বাদী হয়ে ১৪৬ জনের নাম উল্লেখ করে একটি মামলা দায়ের করেন। তদন্ত শেষে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক মাহবুব হোসেন সব আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। মামলার প্রধান আসামি শহিদুজ্জামান মণ্ডল ওরফে শহিদসহ শতাধিক আসামি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন।

আজ রোববার আসামিরা আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে বিচারক তাদের সবার জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করে আসামিপক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবু সাঈদ জানান, আসামিরা সবাই সহায়-সম্বলহীন ও শ্রমজীবী। পুলিশ অন্যায়ভাবে তাদেরকে আসামি করেছে। এতে করে মানবেতর জীবনযাপন করছে এসব পরিবার।   

ফরহাদুজ্জামান ফারুক/আরআই