পাবনার বেড়া উপজেলার মাশুন্দিয়া-ভবানীপুর কে. জে. বি ডিগ্রি কলেজের গণিত বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বিশ্বনাথ দত্তের ভারতে বসবাস এবং অবৈধভাবে তিন বছরের অধিক সময় ধরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হিসেবে আব্দুস ছালামের দায়িত্ব পালনের ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

সোমবার (৮ আগস্ট) বিকেলে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে বলে ঢাকা পোস্টকে জানিয়েছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সবুর আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. খবির উদ্দিনের নেতৃত্বে কমিটির অপর দুই সদস্য হলেন- বেড়া উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. কাওসার আহমেদ ও বেড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. কফিল উদ্দিন সরকার। তাদেরকে আগামী ৭ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. সবুর আলী ঢাকা পোস্টকে বলেন, ‘বিভিন্ন অনলাইন, প্রিন্ট মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ হলে বিষয়টি আমাদের নজরে আসে। বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে নিয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. খবির উদ্দিনের নেতৃত্বে তিন সদস্যের কমিটি করা হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দ্রুত সময়ের মধ্যে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো ইনশাআল্লাহ।

উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. খবির উদ্দিন বলেন, আজকে বিকেলে তদন্ত করার দায়িত্ব পেয়েছি। আমরা প্রাথমিকভাবে কাজও শুরু করে দিয়েছি। জনপ্রতিনিধি ও গণমাধ্যমকর্মীদের সহযোগিতায় স্বচ্ছতার ভিত্তিতেও তদন্ত কার্যক্রম চলবে। আশা করছি খুব অল্প সময়ের মধ্যেই তদন্ত কর্মক্রম শেষ হবে।

উল্লেখ্য, মাশুন্দিয়া-ভবানীপুর কে.জে.বি ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক বিশ্বনাথ দত্ত পাঁচ বছরের অধিক সময় ধরে সপরিবারে বসবাস করছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গে। অথচ তিনি ওই কলেজে স্বপদে চাকরি করছেন। কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুস ছালাম বিশ্বাস ও বিশ্বনাথ দত্তের ভাই সুনিল দত্তের যোগসাজশে তুলছেন নিয়মিত বেতন-ভাতাও। এছাড়াও সরকারি বিধি উপেক্ষা করে প্রায় তিন বছরের অধিক সময় ধরে ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালন করছেন আব্দুস ছালাম বিশ্বাস। 

দুর্নীতি দমন কমিশন ঢাকার সেগুনবাগিচা কার্যালয়, দুর্নীতি দমন কমিশন রাজশাহীর বিভাগীয় পরিচালক, দুর্নীতি দমন কমিশন পাবনা কার্যালয়ের উপপরিচালক ও জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর এমন লিখিত অভিযোগ করেছেন ওই কলেজের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোহাম্মদ মন্নাফ।  

এনিয়ে গত ৭ আগস্ট ‘সহকারী অধ্যাপক বসবাস করেন ভারতে, বেতন-ভাতা নেন অধ্যক্ষ’ শিরোনামে ঢাকা পোস্টে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে।

রাকিব হাসনাত/আরএআর