বঙ্গোপসাগরে ঝড়ের কবলে পড়ে দুই দিনে ৬টি ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটেছে। এতে ১৯ জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। গত সোমবার (৮ আগস্ট) ও মঙ্গলবার (৯ আগস্ট) রাতে আকস্মিক ঝড়ের কবলে পড়ে গভীর সমুদ্রে এসব ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। 

বৃহস্পতিবার (১১ আগস্ট) দুপুরে কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন) লে. কমান্ডার সৈয়দ তৈমুর পাশা বিষয়টি নিশ্চিত করেন।  

নিখোঁজ জেলেরা হলেন- সিরাজুল ইসলাম, মো. সিদ্দিক প্যাদা, ফরহাদ হোসেন, সোহেল রানা, ইয়াসিন আহমেদ, ইয়াকুব হোসেন, মো. আলকাছ মিয়া, আমজাদ হোসেন, মো. শরীফ উদ্দিন, শরীফ মাহমুদ ও জাফর আহমেদ। এছাড়া আরও ছয়জন জেলে নিখোঁজ রয়েছেন। এসব জেলের কী পরিনতি হয়েছে তাও সঠিকভাবে বলতে পারেছেন না স্থানীয় জেলেরা। 

এদিকে গভীর সমুদ্র উত্তাল থাকায় সাগরে মাছ ধরার ট্রলারগুলো উপকূলের কুয়াকাটার আলীপুর-মহিপুর মৎস্য বন্দর, রাঙ্গাবালীর উপকূলীয় চরমোন্তাজ ও মৌডুবি এলাকার মৎস্য কেন্দ্রে ফিরে এসেছে এবং এই তিনটি মৎস্য এলাকায় অন্তত পাঁচ হাজার ট্রলার এখন নিরাপদে আশ্রয়ে রয়েছে। 

দুর্ঘটনার কবলে পড়া ট্রলারের মাঝি আনোয়ার হোসেন খান বলেন, সোমবার ভোররাতে আকস্মিক ঝড় হলে সাগর উত্তাল হয়ে ওঠে। এ সময় ঝড়ের কবলে পড়ে দুটি ট্রলার ডুবে যায়। সাগর উত্তাল থাকায় ট্রলার চালিয়ে কিনারে আসছিলেন তারা। আসার পথে ঢেউয়ের তোড়ে উল্টে গিয়ে তিনটি ট্রলার ডুবে যায়। এতে দুই জেলে নিখোঁজ রয়েছেন।

অন্যদিকে ডুবে যাওয়া ট্রলারের মাঝি মো. শামীম জানান, মঙ্গলবার রাতে উত্তাল ঢেউয়ের তোড়ে ১৫ জেলেসহ তাদের ট্রলারটি উল্টে যায়। এ সময় অন্য একটি ট্রলার এসে তাকেসহ চার জেলেকে উদ্ধার করা করে। পরে গতকাল বুধবার দুপুরে সুন্দরবন এলাকায় আরও দুই জেলের সন্ধান পাওয়া যায়। উদ্ধারকৃত জেলেরা মহিপুর উপ-স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা নিয়েছেন।

এ ব্যাপারে মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল খায়ের বলেন, ট্রলারডুবির ঘটনায় থানায় জিডি হয়েছে। বিষয়টি কোস্টগার্ডকে অবহিত করা হয়েছে এবং নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। তবে সাগর উত্তাল থাকায় উদ্ধার অভিযান ব্যাহত হচ্ছে। 

কোস্টগার্ড দক্ষিণ জোনের স্টাফ অফিসার (অপারেশন) লে. কমান্ডার সৈয়দ তৈমুর পাশা বলেন, নিম্নচাপের প্রভাবে বঙ্গোপসাগর উত্তাল থাকায় ৮ আগস্ট থেকে ভোলা, কক্সবাজার, পটুয়াখালী জেলার ছয়টি মাছ ধরার ট্রলারডুবির ঘটনা ঘটে। এতে ১৯ জেলে নিখোঁজ হয়েছেন। নিখোঁজ জেলেদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছেন কোস্টগার্ড সদস্যরা।

আরএআর