নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় শতবর্ষী বলাইশিমুল খেলার মাঠ রক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন ময়মনসিংহের পরিবেশবাদী ও সমাজকর্মীরা। শিশুদের সঠিক বিকাশে ভুমিকা রাখা এই মাঠে আশ্রয়ণ প্রকল্প না করে অন্যত্র সরিয়ে নিতে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন তারা।

শুক্রবার (১২ আগস্ট) দুপুরে ময়মনসিংহ সার্কিট হাউস মাঠ সংলগ্ন ব্যাট-বল চত্বরে আয়োজিত বলাইশিমুল মাঠপ্রেমির ব্যানারে কথা-কবিতা-গানে মাঠ রক্ষার এ আহ্বান জানানো হয়। 

এতে সংহতি জানিয়ে বক্তব্য রাখেন ময়মনসিংহ জেলা পরিষদের প্রশাসক অধ্যাপক ইউসুফ খান পাঠান। তিনি বলেন, মাঠ আন্দোলন যৌক্তিক ও মানবিক আন্দোলন। আগামীর প্রজন্ম যেন সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠে সেজন্য মাঠের বিকল্প নেই। আমি আশা করি, আপনাদের কথা প্রধানমন্ত্রীর কাছে যাবে, আর তিনি নিশ্চয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।

কবি শামসুল ফয়েজের সভাপতিত্বে এতে আরও বক্তব্য রাখেন, বলাইশিমুল মাঠরক্ষা গণকমিটির আহ্বায়ক আবুল কালাম আল আজাদ, জনউদ্যোগ ময়মনসিংহের আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম চুন্নু, শিক্ষাবিদ সৈয়দ রায়হান উদ্দীন, পরিবেশ রক্ষা ও উন্নয়ন আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শিব্বির আহমেদ লিটন, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) কেন্দ্রীয় সদস্য ইবনুল সাইদ রানা, সমাজকর্মী ফকরুল হাসান সায়েম, মমিনুর রহমান প্লাবন প্রমুখ। 

বক্তারা বলেন, বলাইশিমুল ইউনিয়নের ২৮টি গ্রামের কোথাও খেলার মাঠ নেই। অথচ এখন এই মাঠটিও যেন আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়নের নামে কেড়ে নেওয়ার আয়োজন চলছে। বলাইশিমুল গ্রামেই আরও প্রায় ১০৮ একর খাসজমি আছে, তার মধ্যে ১০ একর জায়গা উঁচু ভূমি। তারপরও ঐতিহ্যবাহী একটি মাঠ দখল করে আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়নের কোনো যুক্তি নেই। প্রশাসনের উচিত জনতার দাবি মেনে নিয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পটি অন্য কোথাও বাস্তবায়ন করা।

জানা গেছে, শত বছরের পুরোনো ওই খেলার মাঠটি বলাইশিমুল গ্রামের ১ একর ৮৭ শতক সরকারি জায়গায় অবস্থিত। সেখানে এলাকার শিশু-কিশোর, শিক্ষার্থীসহ তরুণ-যুবকেরা খেলাধুলা করেন। সম্প্রতি স্থানীয় প্রশাসন মাঠের দুই পাশে ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ২৩টি ঘর নির্মাণ করছে। 

উবায়দুল হক/আরআই