লালমনিরহাটে চার সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় সদর থানায় মামলা করা হয়েছে। শনিবার (১৩ আগস্ট) রাতে বাদী হয়ে মামলাটি করেন হামলার শিকার যমুনা টিভির প্রতিনিধি আনিছুর রহমান লাডলা।

এদিকে এ ঘটনার প্রতিবাদে শনিবার লালমনিরহাটের মিশনমোড়ে ও কালীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে পৃথক মানবন্ধন-বিক্ষোভ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বিভিন্ন ব্যানারে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন জেলার সাংবাদিকরা।

মামলায় অভিযুক্ত করা হয়েছে লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়নের সাঁকোরপাড় দিনাদলি গ্রামের আজিজার রহমান মন্ডল এবং তার তিন ছেলে সাহেব আলী মন্ডল, শাহজাহান আলী মন্ডল ও সুলতান মন্ডলকে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও ২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

জানা গেছে, আজিজার রহমান মন্ডল পঞ্চগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি। এ ছাড়া মূল হামলাকারী সাহেব আলী মন্ডল ওই ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি। গতকাল দুপুরে জেলা যুবলীগের সভাপতি মোড়ল হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, সাংবাদিকদের ওপর হামলার ঘটনায় জড়িত থাকার দায়ে সাহেব আলীকে দল থেকে বহিস্কার করা হয়েছে।

আরও পড়ুন : লালমনিরহাটে হামলার শিকার ৫ সাংবাদিক

প্রসঙ্গত, লালমনিরহাট সদর উপজেলার পঞ্চগ্রাম ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আজিজার রহমান মন্ডলের ছোট ছেলে ওয়ার্ড যুবলীগ সভাপতি সুলতান মন্ডল প্রতিবেশী এক গৃহবধূর সঙ্গে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়েন। কয়েক দিন আগে ওই গৃহবধূকে নিয়ে নিরুদ্দেশ হন সুলতান মন্ডল। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর পরিবার থানায় অভিযোগ করেন।

ঘটনার তথ্য সংগ্রহ করতে শুক্রবার (১২ আগস্ট) বিকেলে ঘটনাস্থলে যান চার সাংবাদিক। তথ্য সংগ্রহ শেষে সুলতান মন্ডলের বাড়ির পাশে হঠাৎ তাদের পথরোধ করেন আজিজার রহমান মন্ডল ও তার বড় ছেলে সাহেদ মন্ডল। এ সময় সাহেদ মন্ডল সাংবাদিকদের হাতে থাকা ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে ভাঙচুর করেন এবং তাদের এলোপাতাড়ি মারপিট শুরু করেন। পরে স্থানীয়রা আহত সাংবাদিকদের উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

এ ঘটনা আহত হন যমুনা টিভির লালমনিরহাট প্রতিনিধি আনিছুর রহমান লাডলা ও ক্যামেরা পার্সন আহসান হাবিব, প্রথম আলোর লালমনিরহাট প্রতিনিধি আব্দুর রব সুজন, এখন টিভির মাহফুজুল ইসলাম বকুল ও দৈনিক আজকের পত্রিকার হাতীবান্ধা প্রতিনিধি রবিউল ইসলাম রবি।

নিয়াজ আহমেদ সিপন/এনএ