পুলিশ কনস্টেবল আশাদুজ্জামান পিকুল

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে স্কুলছাত্রীকে (১৬) বিয়ে করেছেন আশাদুজ্জামান পিকুল (২৮) নামে এক পুলিশ সদস্য। ঘটনাটি ঘটেছে রোববার (১৪ আগস্ট) যশোরের চৌগাছায়। এ দিন যশোর নোটারি পাবলিকের অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে কনের বয়স দুই বছর বাড়িয়ে বিয়ে করেন তিনি।

উপজেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা আমান্য করে পুলিশ সদস্যের বাল্যবিয়ে করায় জেলাজুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। বর্তমানে ওই পুলিশ সদস্য সাতক্ষীরার সদর থানায় কনস্টেবল পদে কর্মরত রয়েছেন। 

বিবাহের ঘোষণা পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, যশোর সদর কাজী অফিসের মাধ্যমে তারা এক লাখ টাকা দেনমোহরে বিয়ে করেছেন। অ্যাফিডেভিটে সাদিয়ার জন্ম তারিখ ২০০৪ সালের ১৯ মে দেখানো হয়েছে। যদিও ফুলসারা ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় থেকে ইস্যু করা জন্মনিবন্ধন সনদে সাদিয়ার জন্ম তারিখ উল্লেখ করা রয়েছে ২০০৬ সালের ১৯ মে।

জানা যায়, গত ৩ আগস্ট উপজেলার জগদীশপুর ইউনিয়নের মাড়ুয়া গ্রামের লুৎফর রহমানের বড় ছেলে তৌহিদুর রহমান নয়নের সঙ্গে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ১৭ বছর বয়সী এক মেয়ের বিয়ের দিন ঠিক ছিল। ৬ আগস্ট উপজেলার সলুয়া গ্রামের তাইজুল ইসলামের স্কুলপড়ুয়াসাদিয়ার সঙ্গে বিয়ের দিন নির্ধারিত ছিল তৌহিদের ছোট ভাই পুলিশ সদস্য পিকুলের।

বিয়ে দুটির খবর পেয়ে চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা নিজেই পিকুলকে ফোন করে ভাইসহ তার বিয়ে বন্ধ করার নির্দেশ দেন। ইউএনওর নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রোববার যশোর নোটারি পাবলিকের অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ের ঘোষণা দেন আশাদুজ্জামান।

চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইরুফা সুলতানা বলেন,‘পুলিশ সদস্যের বাল্যবিবাহের বিষয়টি জানার পর আমি নিজে তার সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তিনি এই বাল্যবিয়ে করবেন না বলে আমাকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। একইসঙ্গে চৌগাছা থানার ওসি সাইফুল ইসলাম সবুজ এবং জগদীশপুর ইউপি চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামের কাছেও একই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। অথচ তিনি ১৪ আগস্ট অ্যাফিডেভিটের মাধ্যমে বিয়ে করেছেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। সেই কাগজপত্র আমাদের কাছে এসেছে। শুনেছি তার বড় ভাইও আরেক নাবালিকাকে বিয়ে করেছেন। এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলা করা হবে।

এসপি