ভাগনি রিয়া মনির বিয়ের দাওয়াতে গত বৃহস্পতিবার জামালপুরের মেলান্দহের আগ পয়লা গ্রাম থেকে আশুলিয়া যান ঝর্ণা বেগম, স্বামী জাহিদ আকন্দ এবং তাদের সন্তান জাকারিয়া ও জান্নাত। শনিবার বিয়ের অনুষ্ঠান শেষে ঝর্ণা বেগমের স্বামী ইজিবাইক মিস্ত্রি জাহিদ বাড়ি ফিরে গেলেও রিয়ার বাসায় থেকে যায় তার স্ত্রী ও সন্তানরা। 

এরপর সোমবার কাওলায় রিয়া মনির স্বামী হৃদয়দের বাড়িতে বৌভাত অনুষ্ঠান শেষে একটি প্রাইভেটকারে আশুলিয়া যাবার পথে উত্তরায় গার্ডার দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় ৫ জনের। নিহতদের মধ্যে রয়েছেন ঝর্ণা বেগম এবং তার সন্তান জাকারিয়া ও জান্নাত।

এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় তাদের গ্রামের বাড়ি জামালপুরের মেলান্দহে চলছে শোকের মাতম। আকস্মিক এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছেন না স্বজন ও এলাকাবাসী। স্ত্রী-সন্তানদের হারিয়ে বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন জাহিদ আকন্দ।

এদিকে সব কার্যক্রম শেষে দ্রুত লাশ ফেরত আনার দাবি জানিয়েছেন নিহতদের স্বজনরা। ঝর্ণা বেগমের স্বজন হাসনা বেগম বলেন, কালকে দুপুরে মারা গেছে। এখনো আমরা লাশ পেলাম না। আমরা দ্রুত লাশটা চাই। আমরা তাদের দ্রুত দাফন করতে চাই।

কনিকা বেগম নামে আরেক স্বজন বলেন, আমরা কোনোদিন কল্পনাও করিনি এভাবে আদরের ধনগুলা মারা যাবে। এখনো আমাদের বিশ্বাস হচ্ছে না। 

ঘটনাটি তদন্ত করে দোষীদের বিচারের আওতায় আনার দাবি বিক্ষুব্ধ স্বজনদের। নিহতের স্বজন আব্বাস মিয়া বলেন, কিছু লোকের গাফিলতির জন্য এমন ঘটনা ঘটেছে। আমরা এ ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার চাই।

উবায়দুল হক/এমএএস