পাবনার ভাঙ্গুড়ায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে মহিলা আওয়ামী লীগকে কটূক্তি করায় মো. সিয়াম সরকার (২০) নামে এক মাদরাসাছাত্রকে ধরে পুলিশে দিয়েছেন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা।

শনিবার (২০ আগস্ট) বিকেলে পুলিশ তাকে পাবনা আদালতে সোপর্দ করে। এর আগে শুক্রবার (১৯ আগস্ট) মধ্যরাতে তাকে আটক করা হয়।

আটক সিয়াম পাবনা জেলা জামায়াত নেতা ও উপজেলার খানমরিচ ইউনিয়নের বৌদ্ধ মরিচ গ্রামের তাইবুর রহমানের ছেলে। তিনি সিরাজগঞ্জের তারাশের নওগাঁ ফাজিল মাদরাসার ছাত্র।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস পালন উপলক্ষে উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত শোক সমাবেশে যোগ দিতে মহিলা আওয়ামী লীগ শোক র‌্যালি নিয়ে সমাবেশস্থলে আসার একটি ভিডিও Md abdul aziz নামের স্থানীয় এক সংবাদকর্মী নিজের ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন। সেখানে MD Siyam Sarkar নামের ফেসবুক আইডি থেকে কমেন্টসে কটূক্তি করা হয় যে ‘সব শালা-শালী জাহান্নামে যাবি’। কমেন্টসের সঙ্গে সঙ্গে আ.লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের মধ্যে প্রতিবাদের ঝড় উঠতে থাকে।

বিষয়টি শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সকালে উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সম্পাদক ও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আজিদা পারভিন পাখি ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে অভিযোগ করেন। সেখান থেকে থানা পুলিশকে বিষয়টি দেখার জন্যও বলা হয়।

সেদিন রাতে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা তাকে বাড়ি থেকে ধরে থানায় খবর দিলে রাত ১২টার দিকে ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশের একটি টিম আইডির মালিক মো. সিয়াম সরকারকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। পরে থানা পুলিশের পক্ষ থেকে তাকে আটক দেখানো হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদ বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন।

ভাঙ্গুড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌরসভার মেয়র গোলাম হাসনাইন রাসেল বলেন, ফেসবুকে আওয়ামী লীগ নেত্রীদের সবাইকে ‘জাহান্নামি’ বলে কটূক্তি করায় দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ছাত্রলীগের নেতাদের মাধ্যমে তাকে আটক করা হয়। পরে আমরা থানা পুলিশকে খবর দিলে তাকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয়।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগ নেত্রীরা জাহান্নামি নাকি জান্নাতি, সেটা তাকে বলার অধিকার কে দিয়েছে? কেউ দলীয় নেতা-নেত্রীদের নোংরা ভাষায় কটূক্তি করলে ছাড় দেওয়া হবে না। আমরা এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
 
ভাঙ্গুড়া থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফয়সাল বিন আহসান ঢাকা পোস্টকে বলেন, আটক ব্যক্তি আওয়ামী লীগ নেতা-নেত্রীদের সম্পর্কে কটূক্তি করায় তাকে আটক করা হয়। শনিবার বিকেলে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। সেখান থেকে অনুমতি পেলে তার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করা হবে।

রাকিব হাসনাত/এনএ