প্রেমের টানে সুদূর মেক্সিকো থেকে জামালপুরে ছুটে এসে ঘর বেঁধেছিলেন গ্লাডিস নাইলি টরিবিও মরালেস। তবে বিয়ের এক মাসের মধ্যেই দেশে ফিরে যেতে হয় তাকে। এবার সেই প্রিয়তমা স্ত্রীর কাছে যেতে ভিসার অপেক্ষায় স্বামী রবিউল হাসান রুমান। ভিসা হাতে পেলেই উড়াল দেবেন সাড়ে ১৪ হাজার কিলোমিটার দূরের দেশ মেক্সিকোর উদ্দেশে। অচেনা সেই শহরেই গড়তে চান সুখের সংসার।

২০১৯ সাল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রেমের পর গত বছরের ২১ নভেম্বর ঢাকা আসেন মেক্সিকান তরুণী গ্লাডিস নাইলি টরিবিও মরালেস। এরপর তাকে স্বাগত জানান রুমান ও তার পরিবার। 

বিমানবন্দর থেকেই ছোটেন ঢাকা জজ আদালতে। গ্রহণ করেন ইসলাম ধর্ম। সেখানেই বিয়ে হয় তাদের। গ্লাডিস নাইলি টরিবিও মরালেসের নাম রাখা হয় লাইলী আক্তার। মধ্যরাতে সরিষাবাড়ির পোগলদিঘা গ্রামে পৌঁছান নয়া দম্পতি। সেখানে এক মাস অবস্থানের পর নিজ দেশে ফিরে যায় লাইলী আক্তার। যাওয়ার আগে রুমানকে শিগগিরই মেক্সিকোতে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছিলেন লাইলী আক্তার।

মেক্সিকো যাওয়ার বিষয়ে রবিউল হাসান রুমানের সঙ্গে কথা হয় ঢাকা পোস্টের। রুমান বলেন, লাইলী চলে যাবার পর আমি মেক্সিকো যাওয়ার১ জন্য গত মে মাসে ভারতের দিল্লীতে গিয়েছিলাম। সেখানে ১২ দিন ছিলাম। কাগজ পত্র সব জমা দিয়েছি। সেখান থেকে ভিসার জন্য ডাকলেই ভিসা নিতে যাব।

রুমান আরও বলেন, ভিসা নিয়ে আসার অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই মেক্সিকো চলে যাবার ইচ্ছা রয়েছে। আমি দেশবাসীর কাছে দোয়া চাই। সেখানে আমি যাতে ভালোভাবে থাকতে পারি। সুখি হতে পারি।

রবিউল হাসান রুমানের বাবা নজরুল ইসলাম বলেন, লাইলী আক্তার আসার পর প্রথমে সাংবাদিকরা এসে নিউজ করে। এরপর ইউটিউব আর ফেসবুকের কিছু লোক আইসে আমাদের অনেক ডিস্টার্ব করেছে। আর ফেসবুকে বাজে মন্তব্য করেছে। তাই তাদের জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে এখন আমার ছেলে কোনো মিডিয়ার সঙ্গেই ঠিকমতো কথাও বলে না, ছবিও তুলতে দেয় না।

নজরুল ইসলাম আরও বলেন, লাইলী আক্তারের সঙ্গে আমার ছেলের প্রতিনিয়ত কথা হচ্ছে। আমরাও মাঝে মধ্যে কথা বলি। মেয়েটা খুবই ভালো। আপনারা সবাই আমার ছেলের জন্য দোয়া করবেন।

জামালপুর জেলার সরিষাবাড়ি উপজেলার পোগলদিঘা গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে রবিউল হাসান রুমান। ময়মনসিংহের রুমডো ইন্সটিটিউট অব মডার্ন টেকনোলজি থেকে মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিপ্লোমা শেষ করে ফ্রিল্যান্সিং করছেন তিনি। মেক্সিকোর একটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০১৬ সালে স্নাতক শেষ করেন লাইলী আক্তার। তার বাবা একজন ব্যবসায়ী।

উবায়দুল হক/আরআই