নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে উপজেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা হামলা করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। 

শনিবার (২৭ আগস্ট) বিকেল ৪টার দিকে সোনাইমুড়ী বাজারে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। 

জানা গেছে, তেল, গ্যাসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও ভোলায় ছাত্রদলের দুই নেতাকে হত্যার প্রতিবাদে সোনাইমুড়ী মডেল উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করে উপজেলা বিএনপি। বিকেলে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সভাস্থলে আসার পথে বিভিন্ন স্থানে তাদের বাধা দিতে থাকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এতে উভয় পক্ষের নেতকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এর কিছুক্ষণ পর শুরু হয় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া, ইটপাটকেল নিক্ষেপ এবং সংঘর্ষ। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। সংঘর্ষ ও উভয়পক্ষের ইট-পাটকেলের আঘাতে অন্তত ১৫ নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন। এতে পুরো বাজারে আতংক ছড়িয়ে পড়ে।

এ বিষয়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ঢাকা পোস্টকে বলেন, আওয়ামী লীগের এমপি ইব্রাহিম তার সন্ত্রাসীদের দিয়ে এই হামলা চালিয়েছেন। আমরা সন্ত্রাসীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানাচ্ছি। হামলা চালিয়েও আমাদের আন্দোলন দমানো যাবে না। 

অভিযোগ অস্বীকার করে নোয়াখালী-১ আসনের (চাটখিল-সোনাইমুড়ী) আসনের সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আওয়ামী লীগ হামলা মামলায় বিশ্বাস করে না। কোথাও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হামলা চালায়নি। বিএনপি নিজেরা নিজেরা হামলা করে আওয়ামী লীগের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। এটাও তাদের রাজনীতি। 

সোনাইমুড়ী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হারুন অর রশীদ ঢাকা পোস্টকে বলেন,  উভয়পক্ষের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। যেহেতু ধাক্কাধাক্কি হয়েছে, সেহেতু আহত হওয়া স্বাভাবিক ঘটনা। তবে এখনো কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। 
 
হাসিব আল আমিন/আরএআর