তৌহিদুল ইসলাম শাওন

ফেনীর ফুলগাজীতে বিয়ের আগেই কন্যাসন্তানের মা হলো নবম শ্রেণির ছাত্রী (১৫)। এ ঘটনায় তৌহিদুল ইসলাম শাওন নামের এক পুলিশ কনস্টেবলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

মা হওয়া স্কুলছাত্রীর ধর্ষণ মামলায় শুক্রবার (২৬ ফেব্রুয়ারি) ভোরে রাঙামাটি থেকে শাওনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। শাওন রাঙামাটির শালবাগান পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত ছিলেন।

এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে ফেনীর সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দেয় স্কুলছাত্রী। জবানবন্দিতে শাওনের ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে কন্যাসন্তানের জন্ম, নবজাতককে গোপনে অন্যত্র দত্তক এবং পরিবারকে ভয়ভীতি দেখানোর বর্ণনা দেয় সে।

বাদীপক্ষের আইনজীবী নুরুল আবছার চৌধুরী মুকুল বলেন, পূর্বপরিচয়ের সূত্র ধরে ২০২০ সালের ১ জুন কৌশলে ওই ছাত্রীকে ফেনী শহরের একটি বাসায় নিয়ে যান শাওন। সেখানে জুসের সঙ্গে নেশাজাতীয় দ্রব্য মিশিয়ে স্কুলছাত্রীকে পান করানোর পর কয়েকবার ধর্ষণ করেন। জ্ঞান ফেরার পর ছাত্রীর আপত্তিকর ভিডিও ও ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেন শাওন। ছাত্রী অন্তঃসত্ত্বা হলে ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়। এরপর ঘটনা ধামাচাপা দিতে উঠেপড়ে লাগেন স্থানীয় প্রভাবশালীরা। একপর্যায়ে ছাত্রীর পরিবারকে সমাজচ্যুত করা হয়। 

গত ১১ ফেব্রুয়ারি কন্যাসন্তানের জন্ম দেয় স্কুলছাত্রী। পরে স্বজনরা বিষয়টি কনস্টেবল শাওনকে জানালে অস্বীকার করে তাদের হুমকি দেন। বাধ্য হয়ে ২৩ ফেব্রুয়ারি কনস্টেবল শাওন, তার বাবা আমিনুল ইসলাম, মা শানু ও মামা ফিরোজ আহম্মদ বাবুকে আসামি করে আদালতে মামলা করেন। আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে ফুলগাজী থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন।

ফুলগাজী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কুতুব উদ্দিন বলেন, আদালত থেকে গ্রেপ্তারের কপি হাতে পাওয়ার পরপরই শাওনকে ধরতে অভিযানে নামে পুলিশ। শুক্রবার সকালে রাঙামাটি থেকে শাওনকে গ্রেপ্তার করে বিকেলে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

হোসাইন আরমান/এএম