ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার আখানগর রেলস্টেশনে ট্রেন থামলেও স্টেশনটিতে ৫ বছর ধরে নেই কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী। ফলে স্টেশনজুড়ে তৈরি হয়েছে নানান সমস্যা।

এদিকে ট্রেন কখন আসবে, কোথায় আছে জানতেও পারেন না যাত্রীরা। এতে টিকিট বিক্রি ও মালামাল বুকিংসহ নানাবিধ অসুবিধায় পড়ছে যাত্রীরা। ভোগান্তির শিকার হচ্ছে দিনাজপুর, রংপুর ও ঢাকাসহ বিভিন্ন স্থানের বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শিক্ষার্থীসহ চিকিৎসাসেবা গ্রহীতা ও সাধারণ মানুষ।

জানা গেছে, আখানগর রেলস্টেশনের ওপর দিয়ে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় রুটে ঢাকাগামী পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, দ্রুতযান, একতা, দোলনচাঁপা ও বাংলাবান্ধা এক্সপ্রেসসহ বেশ কয়েকটি ট্রেন চলাচল করে। যার মাঝে কাঞ্চন ট্রেনটি এই স্টেশনে থামলেও যাত্রীরা উঠতে পারছেন না। কারণ বিনা টিকিটে ট্রেনে উঠার পর টিটিদের দিতে হয় বাড়তি টাকা। অনেক সময় টাকা দিয়েও হয়রানির শিকার হতে হয় যাত্রীদের। 

আখানগরের ফজলে রাব্বি ও তৈমুর ইসলাম বলেন, সেই ছোটবেলা থেকে দেখে আসছি পঞ্চগড়-পার্বতীপুর রুটের সব ট্রেন এই স্টেশনে থামত। এলাকার মানুষ দিনাজপুর ও পার্বতীপুর যাতায়াত করতেন ট্রেনে করে। ট্রেন আসার পূর্ব মুহূর্তে লোকজন আর বিভিন্ন মালামালে ভর্তি হতো স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম। কিন্তু বর্তমানে ট্রেন থামলেও নেই স্টেশন মাস্টার।

রুবেল ইসলাম নামে স্থানীয় একজন বলেন, দেশের রেলযোগাযোগ ব্যবস্থায় আধুনিকায়ন করা হয়েছে। তার সুবাদে ইতোমধ্যে আখানগর স্টেশনে নতুন প্ল্যাটফর্ম ও ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু দুঃখের বিষয় লাখ লাখ টাকা খরচ করে কী লাভ? যদি স্টেশন মাস্টারেই না থাকে! তাছাড়া সঠিক রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে স্টেশনের বিভিন্ন আসবাবপত্র ও যন্ত্রপাতি নষ্ট হওয়ার পথে। তাই এই রেল-স্টেশনকে টিকিয়ে রাখতে দ্রুত লোকবল নিয়োগের দাবি জানাচ্ছি। 

কবে লোকবল পাবে আখানগর রেলস্টেশন জানতে চাইলে লালমনিরহাটের (ডিসিও) আব্দুল্লাহ আল মামুন ঢাকা পোস্টকে বলেন, ডিভিশনের আওতায় আনুমানিক প্রায় ২০টি রেলস্টেশনে লোকবল সংকট রয়েছে। তবে আশা করা যায়, আগামী এক বছরের মাঝে সংকট কাটিয়ে সব স্টেশনের কার্যক্রম পুরোপুরি চালু হবে। 

এম এ সামাদ/এসপি