কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে বিএনপির বিক্ষোভে পুলিশের টিয়ার শেলে ২০ জন স্কুলশিক্ষার্থী আহত হয়েছে। তাদের নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। আহত স্কুল শিক্ষার্থীরা নাঙ্গলকোট এআর মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। বুধবার (৩১ আগস্ট) সকালে জেলার নাঙ্গলকোট পৌর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। 

নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রায়হান মেহবুব ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, বুধবার সকাল ৯টা থেকে গণ্ডগোল শুরু হয়। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে এআর সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয়ের কাছে বিক্ষোভকারীরা অবস্থান নেয়। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে। এ সময় আতঙ্ক ও টিয়ারশেলের ধোঁয়ায় শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হয়ে পড়ে। 

আরও পড়ুন : কুমিল্লায় পুলিশ-বিএনপি-আ.লীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষ

এ ঘটনায় নাঙ্গলকোট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফারুক হোসেন ইটের আঘাতে আহত হন। তিনি বলেন, আমার ও সহকারী কমিশনারের (ভূমি) গাড়ি দিয়ে শিক্ষার্থীদের নাঙ্গলকোট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে। আমরা সেখানেই আছি।

প্রসঙ্গত, বুধবার জ্বালানি তেলসহ দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, ভোলায় পুলিশের গুলিতে ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের দুই নেতা নিহতের প্রতিবাদে বুধবার সকালে নাঙ্গলকোটে বিক্ষোভে নামে বিএনপি। পরে বিক্ষোভ মিছিল বের করার সময় পুলিশের বাধার মুখে পড়েন নেতা-কর্মীরা। এ নিয়ে সকাল থেকেই উপজেলার পৌর এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার খবর পাওয়া যায়।

প্রায় তিন ঘণ্টা বিএনপির দখলে থাকে পৌর এলাকার বিভিন্ন সড়ক। এ সময় লোটাস চত্বরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও অর্থমন্ত্রী লোটাস কামালের ছবি ভাঙচুর করা হয়।

এক পর্যায়ে বিক্ষোভকারীরা এ আর স্কুলের পাশে অবস্থান নেয়। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ ও টিয়ারশেল ছোড়ে। এতে আতঙ্কিত হয়ে ও টিয়ারশেলের ধোঁয়ায় ২০ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ে। দুপুর দেড়টার পর পৌর এলাকার সব সড়ক দখলে নেয় আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীরা।

আরআই