নেত্রকোণায় আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলমসহ দুই পক্ষের অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। 

বুধবার (৩১ আগস্ট) দুপুরে উপজেলার চাঁনগাও ইউনিয়নের শাহপুর গ্রামের ঈদগাহ মাঠে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।  

সংঘর্ষে মদন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম, এএসআই খোরশেদ আলম, পুলিশ সদস্য আজিজুল ইসলাম, আওয়ামী লীগের কর্মী শরিফুল ইসলাম, রিপন, বুলবুল আহমেদ, রোকন মিয়া, আনোয়ার হোসেন, মোশারফ ও সাগরকে মদন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। এ ছাড়া বিএনপির আহত ৭ জন নেতা-কর্মীদেরকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

পুলিশ, আওয়ামী লীগ ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে মদন উপজেলা বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা বিক্ষোভ মিছিলের জন্য চানগাও ইউনিয়নের শাহপুর ঈদগাহ মাঠে জড়ো হয়। বিএনপির নেতা-কর্মীদের দেখে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরাও একই স্থানে জড়ো হতে থাকে। 

এক পর্যায়ে দুপক্ষের মাঝে উত্তেজনা দেখা দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। এ সময় বিএপির নেতা-কর্মীরা পুলিশকে উদ্দেশ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে শুরু করলে সংঘর্ষ শুরু হয়।

উপজেলা বিএনপির সাধারাণ সম্পাদক মো. রফিকুল ইসলাম আকন্দ জানান, কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্দেশে আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনকালে পুলিশ ও আওয়ামী লীগের কর্মীরা আমাদের ওপর হামলা চালায়। পরে আমাদের নেতা-কর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে ৭ নেতা-কর্মী আহত হয়। আহতদের বিভিন্ন স্থানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।  

মদন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার খান এখলাছ জানান, আমাদের নেতা-কর্মীদের দেখে বিএনপির নেতা-কর্মীরা অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করলে তাদের ওপর ইটপাটকেল ছোড়া হয়। এতে আমাদের ৭ জন নেতা-কর্মীকে আহত অবস্থায় মদন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা করা হবে।  

মদন থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ ফেরদৌস আলম জানান, বিএনপি কর্মসূচি পালন করার খবর পেয়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা জড়ো হতে থাকে। দুই পক্ষের উত্তেজনার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে যেতেই বিএনপি নেতা-কর্মীরা আমাদের ওপর ইটপাটকেল ছুড়ে থাকে। 

এতে আমি ও আমার দুই জন পুলিশ সদস্য আহত হয়েছি। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা করার প্রস্তুতি চলেছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ রাখতে এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

জিয়াউর রহমান/আরআই