দেশে খাদ্যের সর্বোচ্চ মজুত রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন রাজশাহীর বিভাগীয় কমিশনার জিএসএম জাফরউল্লাহ্। তিনি বলেন, কেউ কেউ বলেন, দেশে খাদ্যের পর্যাপ্ত মজুত নেই। এটা ঠিক না। বিশ্ব সংকটকে কাজে লাগিয়ে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল সুবিধা লুটতে চান।

বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) রাজশাহীতে সরকারি উদ্যোগে ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রির উদ্বোধনীতে এই কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে এই কার্যক্রমের সার্বক্ষণিক মনিটরিং করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

সকালে জেলার পবা উপজেলার হড়গ্রাম ইউনিয়ন পরিষদ চত্বরে এ আয়োজন করে জেলা প্রশাসন ও বিভাগীয় খাদ্য দপ্তর। তাতে প্রধান অতিথি হিসেবে অংশ নেন বিভাগীয় কমিশনার।

বিভাগীয় কমিশনার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে কাজ করে যাচ্ছেন। অচিরেই বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ হবে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশে পৌঁছে যাওয়ার যুদ্ধে সবার অংশগ্রহণ কামনা করেন তিনি।

তিনি আরও বলেন, মাদার অব হিউম্যানিটি বা মানবতার জননী হিসেবে পরিচিত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছোট্ট ছোট্ট উদ্যোগের মাধ্যমে সারা বিশ্বে নিজের অবস্থানকে তুলে ধরেছেন। সারা বিশ্ব যখন খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে চিন্তিত তখন বাংলাদেশে প্রধানমন্ত্রীর দূরদর্শী নেতৃত্বে সেটা নেই। 

রাজশাহী জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন- খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. সালমা মমতাজ। অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রক ফারুক হোসেন পাটোয়ারী, পবা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা লসমী চাকমা, জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক দিলদার মাহমুদ, নওহাটা পৌর মেয়র মো. হাফিজুর রহমান হাফিজ ও হড়গ্রাম ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ। 

বিভাগীয় খাদ্য দপ্তর সূত্র জানিয়েছে, বিশেষ এই কমর্সূচির আওতায় আগামী তিন মাসে রাজশাহী বিভাগের ৭ লাখ ৭৬ হাজার পরিবার ১৫ টাকা কেজি দরে চাল পাবে। এর মধ্যে রাজশাহী জেলায় পাবে ৮১ হাজার ৪০০টি পরিবার। এর আওতায় মাসে মাথাপিছু ৩০ কেজি করে চাল কেনা যাবে। 

জানা গেছে, সারা দেশে ৫০ লাখ মানুষকে খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ১৫ টাকা কেজি দরে চাল বিক্রি করা হবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ায় নিম্ন আয়ের মানুষের খরচ কিছুটা লাঘব করার জন্য এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সরকার।

ফেরদৌস সিদ্দিকী/আরআই