পাবনার ভাঙ্গুড়ায় একই সময়ে একই স্থানে পাল্টাপাল্টি কর্মসূচি ঘোষণা করেছে উপজেলা বিএনপি ও ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। তাদের এমন ঘোষণায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন।

রোববার (০৪ সেপ্টেম্বর) রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একই সময়ে উপজেলার শরৎনগর বাজার এলাকায় জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, পরিবহন ভাড়া ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে বিএনপি এবং জামায়াত-বিএনপির নৈরাজ্য প্রতিহত করার জন্য আওয়ামী লীগ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। ফলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আশঙ্কায় আজ (০৫ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত শরৎনগর বাজার ও তৎসংলগ্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হলো।

বিষয়টি নিশ্চিত করে মোহাম্মদ নাহিদ হাসান খান বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির স্বার্থে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। এরপরই যদি কোনো পক্ষ মিছিল-সমাবেশ করার চেষ্টা করে, তাহলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ ফয়সাল বিন আহসান বলেন, ‘১৪৪ ধারা জারির চিঠি পেয়েছি। আমরা ইতোমধ্যেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করেছি। এলাকায় মাইকিং করা হচ্ছে। এরপরও যদি কেউ আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির চেষ্টা করে তাহলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এ বিষয়ে তীব্র ক্ষোপ প্রকাশ করে পাবনা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হাবিবুর রহমান হাবিব বলেন, ‘আমাদের ৭-৮ দিন আগে পুলিশ ও উপজেলা প্রশাসন থেকে অনুমিত নেওয়া ছিল। এটা আমাদের চলমান কর্মসূচি, সেটা সরকার পতনের নয়, শুধুমাত্র দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে চলমান কর্মসূচি। এমন কর্মসূচিতে যদি বাধা দেওয়া হয়, তাহলে এর চেয়ে অগণতান্ত্রিক ও অসভ্যতা আর কি হতে পারে? এর জবাবদিহি একদিন অবশ্যই করতে হবে।’

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র গোলাম হাসনায়েন রাসেল বলেন, ‘বিএনপির এটা মূলত নৈরাজ্য সৃষ্টির কর্মসূচি ছিল। কিন্তু ভাঙ্গুড়া তো শান্তিপূর্ণ ও আওয়ামী লীগের ঘাঁটি। তাই এখানে যেন কোনো ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি করতে না পারে এজন্য আমরা একটা কর্মসূচি দিয়েছিলাম। কিন্তু প্রশাসন নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় আমরা কর্মসূচি স্থগিত করেছি।’

রাকিব হাসনাত/এসপি