খুলনায় বিস্ফোরক মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য নজরুল ইসলাম মঞ্জু ও সাবেক কেসিসির মেয়র মনিরুজ্জামান মনিসহ বিএনপির ৫০ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগ গঠন হয়েছে। সোমবার (০৫ সেপ্টেম্বর) খুলনা মহানগর স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-২ এস এম আশিকুর রহমানের আদালতে এ অভিযোগ গঠন শুনানি হয়। 

আসামি পক্ষের আইনজীবী মোল্লা গোলাম মওলা ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিএনপি নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরা লাঠি, রড, ইটপাটকেল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সরকার বিরোধী শ্লোগান দিয়ে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করে। এ সময় তারা রাস্তায় চলাচলকারী যানবাহন ভাঙচুর করতে থাকে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য তাদের ধ্বংসাত্মক কার্যকালাপ থেকে বিরত থাকার জন্য অনুরোধ করে। 

কিন্তু তারা সেটি না করে পুলিশকে হত্যার উদ্দেশ্যে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। এ সময় রাস্তায় চলাচলকারী সাধারণ জনগণ ছোটাছুটি করতে থাকে। অভিযুক্তরা কয়েকটি ট্রাক ও পিকআপ ভাঙচুর করে। প্রায় ১০ লাখ টাকার মালামালের ক্ষতি হয়।

অভিযুক্তদের ছোড়া বোমার আঘাতে সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার টিএম মোশারফ হোসেনের ডান হাত ও কয়েকজন পুলিশ সদস্য গুরুতর আহত হয়। তখন নিজের জানমাল রক্ষার্থে পুলিশ কয়েক রাউন্ড টিয়ারশেল ও গুলি ছোড়ে। পরে সেখান থেকে নেতাকর্মীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে পালিয়ে যায়। আহত পুলিশ অফিসার ও সদস্যদের উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়।

এ ঘটনায় খুলনা থানার এসআই অনুকুল চন্দ্র ঘোষ বাদী হয়ে ৪৫ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাতনামা ২০০/২৫০ জনের নামে মামলা করেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা খুলনা থানার এসআই মো. মোস্তাক আহমেদ ৫২ জনের নাম উল্লেখ করে ২০১৫ সালের ৩০ এপ্রিল আদালতে তদন্ত  প্রতিবেদন দাখিল করেন।

আসামি পক্ষের আইনজীবী মোল্লা গোলাম মওলা বলেন, ২০১৩ সালের ২৬ নভেম্বর বিএনপি পাওয়ার হাউস মোড়ে সমাবেশ করছিল। সে সময় ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী ও পুলিশ তাদের ওপর হামলা চালায়। এটি একটি মিথ্যা মামলা। এ মামলায় একজনের নাম দুবার ও একজন আসামি মারা গেছেন। আজ ৫০ জনের বিরুদ্ধে খুলনা মহানগর স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল-২ এর আদালতে অভিযোগ গঠন হয়েছে। আদালতে আজ সব নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। ন্যায় বিচার হলে তারা সবাই খালাস পাবেন।

মোহাম্মদ মিলন/এসপি