বগুড়ার শেরপুর বাসস্ট্যান্ডে একই সময় ও স্থানে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ বিক্ষোভ সমাবেশ ও প্রতিবাদ সভা আহ্বান করায় ১৪৪ ধারা জারি করেছে উপজেলা প্রশাসন। শনিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত ওই এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ময়নুল হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, একই সময় ও স্থানে দুটি রাজনৈতিক দল কর্মসূচির ডাক দিয়েছেন। এ অবস্থায় আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ থাকবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, জ্বালানি তেলের মূল্য বৃদ্ধি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও পুলিশের গুলিতে দলীয় কর্মী নিহত হওয়ার প্রতিবাদে শেরপুর পৌরসভার ৭ নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে শহরের স্থানীয় বাসস্ট্যান্ডে বিক্ষোভ সমাবেশের আয়োজন করা হয়। শনিবার বিকেল ৩টা থেকে এই সমাবেশ হওয়ার কথা ছিল। এতে বগুড়া জেলা ও স্থানীয় বিএনপির নেতারা উপস্থিত থাকার কথা ছিল।

শেরপুর পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহম্মেদ জুয়েল বলেন, কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসূচির অংশ হিসেবে পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডে বিক্ষোভ ও সমাবেশ কর্মসূচি পালন করা হয়। সর্বশেষ মহাসমাবেশর আয়োজন করা হয়। সে অনুযায়ী সব প্রস্তুতিও সম্পূর্ণ হয়েছে। সমাবেশের মঞ্চ তৈরির কাজ চলছিল। ঠিক সেই মুহূর্তে পৌর বিএনপির এই কর্মসূচি বানচাল করতেই আওয়ামী লীগ একই সময় ও স্থানে প্রতিহিংসামূলকভাবে কর্মসূচির ডাক দিয়েছে। প্রশাসন সেখানে ১৪৪ ধারা জারি করেছে। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই দলীয় ফোরামে সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে পরবর্তী করণীয় ঠিক করা হবে।

উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বলেন, বিএনপি-জামায়াত জোটের মিথ্যাচার ও আন্দোলনের নামে দেশকে অস্থিতিশীল করার  ষড়যন্ত্রের প্রতিবাদে শনিবার বিকেল ৩টায় প্রতিবাদ সভার আয়োজন করা হয়েছে। বিএনপিও পাল্টা কর্মসূচি আহ্বান করায় প্রশাসন ১৪৪ জারি দিয়েছে। পূর্ব নির্ধারিত আমাদের এই কর্মসূচি বানচাল করতেই বিএনপি সমাবেশের ডাক দেয়। বিএনপি যত ষড়যন্ত্রই করুক না কেন আমাদের কর্মসূচি ঠিকই পালন করা হবে।

শেরপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আতাউর রহমান খন্দকার বলেন, এই নির্দেশ জারির পর থেকে ওই এলাকায় পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। যেকোনো ধরনের সভা-সমাবেশ করতে দেওয়া হবে না। এজন্য পুলিশ তৎপর রয়েছে।

এসপি