সেপ্টেম্বর মাসের বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে পেয়েছেন গ্রাহক শ্রী অধীর কুমার সরকার। গত মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বব) হাতে পাওয়া বিদ্যুৎ বিলে চোখ রাখতেই চমকে ওঠেন তিনি। কারণ বিল এসেছে ১০ লাখ ৮২ হাজার ৬১ টাকা। একমাসে ৯০ হাজার ১৫০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহার করা হয়েছে বলে বিলে উল্লেখ করা হয়েছে।

পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর বিল প্রস্তুতকারক আসমা ও এজিএম (অর্থ) এর স্বাক্ষর সম্বলিত এমন ভুতুরে বিল নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। 

ভুক্তভোগীর পরিবার জানায়, এ রকম ভৌতিক বিল পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর অফিসে নতুন কোনো বিষয় না। কারও নজরদারি না থাকায় এসব ঘটনা ঘটছে। 

স্থানীয় বাসিন্দা ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এই অফিসে অদক্ষ অপারেটর দ্বারা বিদ্যুৎ বিল তৈরির ফলে বিদ্যুৎ বিলের কপিতে গ্রাহকের নাম, বাবার নাম, মোবাইল নম্বর ভুল হয়। তারা মিটার রিডিং না করে অফিসে বসেই বিদ্যুৎ বিল তৈরি করেন। এজিএমের (অর্থ) এই বিল ক্রসচেক করার স্বাক্ষর থাকলেও তিনি কিছুই করেন না। এছাড়া মিটারে কম বিদ্যুৎ ব্যাবহার দেখিয়ে বছর শেষে হাতিয়ে নেন অতিরিক্ত টাকা। ফলে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৩ লাখ গ্রাহক নানা সময় ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছেন। 

এ বিষয়ে বিল প্রস্তুতকারী আসমা খাতুন ভুল স্বীকার করে বলেন, মানুষই ভুল করে। কাজ করতে গেলে একটু ভুল হতেই পারে। এ বিষয়ে নিউজ না প্রকাশের জন্যও অনুরোধ করেন তিনি।

এ বিষয়ে পাবনা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-১ এর জেনারেল ম্যানেজার মো. আকমল হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি জানার পর বিল প্রস্তুতকারক ওই মেয়েটিকে শোকজ করেছি। যে গ্রাহকের বিলে এমন হয়েছে,  বিল সংশোধনের জন্য সেই গ্রাহকের কাছে আমি অফিসার পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু তারা এই বিষয়ে রং লাগিয়ে বড় কিছু করতে চাইছে। মানুষের তো ভুল হতেই পারে।

রাকিব হাসনাত/আরএআর