সেই প্রসূতির গর্ভ থেকে ছিন্ন মাথা অপসারণ
প্রসূতি আন্না খাতুন
যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালে সেই প্রসূতির গর্ভ থেকে ছিন্নমাথা অপসারণ করা হয়েছে। রোববার হাসপাতালে ডিএনসি করে এটি অপসারণ করা হয়। হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আরিফ আহম্মেদ জানিয়েছেন, প্রসূতি এখন শঙ্কামুক্ত।
তবে তিনি দাবি করেছেন, ঘটনার সময় (শনিবার রাতে) ওয়ার্ডে চিকিৎসক ও নার্স ছিল। তাদেরকে না জানিয়ে আয়া ওই ডেলিভারির চেষ্টা করে। এতে সন্তানের দেহ বেরিয়ে এলেও ছিন্ন মাথা রয়ে যায় প্রসূতির গর্ভে। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিজ্ঞাপন
ঘটনার শিকার প্রসূতি আন্না খাতুন (২৬) যশোরের শার্শা উপজেলার গাজীপুর গ্রামের ইয়ায়ুব হোসেনের স্ত্রী।
আন্নার স্বামী ইয়াকুব আলী অভিযোগ জানান, তার স্ত্রী আন্না পাঁচ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। বাড়িতে পড়ে যাওয়ায় এবং সন্তানের নড়াচড়া টের না পাওয়ায় শুক্রবার রাতে তাকে নিয়ে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে আসেন। শনিবার সকালে চিকিৎসক আল্ট্রাসনোগ্রাম করান। এ সময় চিকিৎসক জানান, গর্ভে ২০ সপ্তাহের সন্তান মারা গেছে।
বিজ্ঞাপন
পরে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সেবিকা গর্ভপাতের ওষুধ দেন। শনিবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে সন্তানের পা বেরিয়ে আসে। এ সময় আন্নার স্বজনরা চিকিৎসক, নার্সদের ডেকেও পাননি। পরে ওয়ার্ডের আয়া মোমেনা নিজেই সন্তান প্রসব করানোর চেষ্টা করেন।
একপর্যায়ে সন্তানের দেহ বেরিয়ে এলেও ছিন্ন মাথা রয়ে যায় প্রসূতির গর্ভে। এ ঘটনার পর রোগীর স্বজনরা হৈচৈ শুরু করলে সেবিকা, আয়া সবাই ওয়ার্ড ছেড়ে পালিয়ে যান।
হাসপাতালে আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আরিফ আহম্মেদ ফোনে জানান, রোগীর গর্ভে ২০ সপ্তাহের মরা বাচ্চা ছিল। গর্ভপাতের জন্য মেডিসিন দেওয়া হয়। রাতে বাচ্চার পা বেরিয়ে আসতে দেখে আয়া কাউকে না জানিয়ে নিজে ডেলিভারি করার চেষ্টা করে। গর্ভে বাচ্চাটি আগের দিনই মারা যাওয়ায় সেটিতে পচন শুরু হয়। এ কারণে আয়া টানাটানি করতেই মাথা বিচ্ছিন্ন হয়ে বেরিয়ে আসে।
রোববার সকালে ডিএনসি করে ওই প্রসূতির গর্ভ থেকে মৃতসন্তানের মাথা অপসারণ করা হয়েছে। এখন তিনি শঙ্কামুক্ত।
তবে ডা. আরিফ আহম্মেদ দাবি করেছেন, ঘটনার সময় ওয়ার্ডে চিকিৎসক ও নার্স ছিল। তাদেরকে না জানিয়ে আয়া নিজেই বাচ্চাটি বের করার চেষ্টা করেছে। এজন্য তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
জাহিদ হাসান/এমএএস