বেড়াতে আসা শ্যালককে মেরে ফেললেন ভগ্নিপতি
গ্রেফতার শাহার আলী সোহান
গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানার মোগরখাল এলাকায় বগুড়া থেকে বেড়াতে আসা কিশোর রানাকে (১৬) হত্যার অভিযোগে তার ভগ্নিপতিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (২১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে নগরীর মোগরখাল এলাকার ভাড়া বাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতার শাহার আলী সোহান (২৮) বগুড়ার সারিয়াকান্দি থানার গোয়ালবাতান গ্রামের জলিল মন্ডলের ছেলে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে তিনি তার শ্যালক হত্যার দায় স্বীকার করেছেন।
বিজ্ঞাপন
নিহত রানা সারিয়াকান্দি থানার রামচন্দ্রপুর গ্রামের আবুল কাসেম প্রামাণিকের ছেলে। সোমবার সকালে মোগড়খাল এলাকার একটি বাউন্ডারি ওয়ালের পেছনের জমি থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
নিহতের পরিবার সূত্রে জানা যায়, রানা বগুড়া থেকে দুই সপ্তাহ আগে গাজীপুর মহানগরীর মোগরখাল এলাকায় তার বোনের বাসায় বেড়াতে আসে। ভগ্নিপতির বাসায় থাকলেও রানা দিনের বেলায় তার বড় ভাই জনির কাছেই থাকতো। রোববার (২০ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রানা তার ভগ্নিপতির বাসায় যাওয়ার উদ্দেশ্যে দোকান থেকে বের হয়ে আর বাসায় ফিরেনি। পরে সোমবার সকালে ওই এলাকার নির্জন স্থানে রানার মরদেহ পাওয়া যায়।
বিজ্ঞাপন
গাজীপুর মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (ক্রাইম) জাকির হাসান জানান, সোমবার সকালে নগরীর ১৭নং ওয়ার্ডের যোগীতলা এলাকায় বারী প্রফেসরের মাকের্টের পেছনের ফাঁকা মাঠ থেকে অজ্ঞাত পরিচয় এক কিশোরের মরদেহ উদ্ধার করে বাসন থানা পুলিশ। পরে তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে নিহতের পরিচয় পাওয়া যায়। নিহতের বোনসহ অন্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানায়- ভগ্নিপতি শাহার আলী সোহানের সঙ্গে রানার পরিবারের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিরোধ ছিল। পরে সোহানকে জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে তিনি হত্যার দায় স্বীকার করেন। তার দেয়া তথ্য মতে রানার ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সোহানের বাসা থেকে উদ্ধার করা হয়।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সোহান জানিয়েছেন- তিনি তার শ্বশুরের কাছ থেকে ১০ হাজার টাকা পেতেন। সেই পাওনা টাকা না দেয়ায় এবং এক বছর আগে শ্বশুরবাড়িতে ডেকে নিয়ে তাকে মারপিটসহ বিভিন্ন কারণে তিনি রানাকে হত্যা করেছেন।
আরএআর