বরগুনার দূরপাল্লার পরিবহনে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে। পটুয়াখালী ও বরিশালের বাসমালিক সমিতির নেতাদের সঙ্গে মঙ্গলবার সমন্বয় সভার পর ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন বরগুনার পরিবহন মালিকরা। বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। 

ধর্মঘট প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, বরগুনা-বাকেরগঞ্জ সড়ক দিয়ে ঢাকা-বরগুনা রুটের যাত্রীবাহী বাস চলাচলে রুট পারমিট না থাকার অজুহাতে বরিশালের রূপাতলী বাস মালিক সমিতি বাকেরগঞ্জ দিয়ে বরগুনা থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল করতে বাধা দিয়ে আসছিল। প্রায় দুই মাস ধরে বরগুনা-বাকেরগঞ্জ রুট দিয়ে ঢাকা-বরগুনা রুটের যাত্রীবাহী বাস চলাচলে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এতে বাসগুলো পটুয়াখালীর সুবিদখালী ও আমতলী ফেরি পার হয়ে বরগুনায় চলাচল করছে। এতে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে তিন-চার ঘণ্টা বেশি সময় লেগেছে। এ কারণে যাত্রীদেরও দুর্ভোগ পোহাতে হয়। এর প্রতিবাদে সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টা থেকে পরিবহন ধর্মঘটের ডাক দেয় বরগুনা পরিবহন মালিকরা। 

এরই জেরে মঙ্গলবার দুপুর থেকে বরিশাল বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে সংশ্লিষ্টদের অংশগ্রহণে এক সমন্বয় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় লোকাল যাত্রী না নেওয়ার শর্তে আগের মতো নির্বিঘ্নে বরগুনা-বাকেরগঞ্জ রুট দিয়ে বরগুনার পরিবহন চলাচলের সিদ্ধান্ত হয়। এতে ধর্মঘট প্রত্যাহার করে নেন বরগুনার পরিবহন নেতারা। 

বরগুনা দূরপাল্লার যাত্রী পরিবহন পরিচালনা কমিটির আহ্বায়ক সিদ্দিকুর রহমান টুকু বলেন, প্রশাসক হাবিবুর রহমান জানিয়েছেন বরগুনার দূরপাল্লার বাস চলাচলে কোনা বাধা দেওয়া হবে না। তাই আমরা ধর্মঘট প্রত্যাহার করেছি। সকাল থেকে আগের মতো বরগুনা থেক ঢাকাসহ  দূরপাল্লার বাস চলাচল করবে।

এ বিষয়ে বরগুনার জেলা প্রশাসক হাবিবুর রহমান বলেন, বরগুনার দূরপাল্লার পরিবহনে বরিশাল-বরগুনা রুটে লোকাল বাসে যাত্রী তুলে নেওয়ার অভিযোগ বরিশাল বাসমালিক সমিতির। বিষয়টি সমাধানে একটি কমিটি গঠন করা হবে। তাছাড়া এখন থেকে আর লোকাল যাত্রী নেওয়া যাবে না। এ শর্তে ধর্মঘট প্রত্যাহার করা হয়েছে।  

খান নাঈম/এসকেডি