কিশোরীকে দলবেঁধে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তাররা

ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অপহরণের পর এক কিশোরীকে (১৭) দলবেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (১ মার্চ) ভোররাতে সদর উপজেলার জামালপুর ও রাণীশংকৈল উপজেলায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  

গ্রেপ্তাররা হলেন- সদর উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের উত্তর মহেষপুর গ্রামের আব্দুল জলিলের ছেলে বাবুল ওরফে বাবু (১৯), একই গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে মোহাম্মদ সোহেল (২০), রাণীশংকৈল উপজেলার নুনতোর গ্রামের শামসুদ্দিনের ছেলে রহমান (১৯) ও মোহাম্মদপুরের ঝাড়বাড়ি গ্রামের মসলিম উদ্দীনের ছেলে রমজান (১৯)। 

এর আগে নির্যাতনের শিকার ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে ছয়জনকে আসামি করে ঠাকুরগাঁও সদর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন। 

মামলার বিবরণে জানা যায়, এক মাস আগে গ্রেপ্তার বাবুল ওরফে বাবুর সঙ্গে ওই কিশোরীর পরিচয় হয়। গত ২৭ ফেব্রুয়ারি সে তার ১২ বছর বয়সী বোনকে সঙ্গে নিয়ে বাবুর সঙ্গে বাড়ির পাশে কাশিয়াডাঙ্গী বাজারে দেখা করতে যায়। এরপর তার বোনকে কৌশলে বাজারের পাশে একটি বাড়িতে আটকে রাখে বাবু। পরে ওই কিশোরীকে অপহরণ করে বাজারের পাশের একটি আম বাগানে নিয়ে যায় বাবুল ওরফে বাবু। এরপর সেখানে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা বাবুসহ তার অন্য বন্ধুরা মিলে ওই কিশোরীকে ধর্ষণ করে। এরপর ওই কিশোরী জ্ঞান হারিয়ে ফেললে তাকে ফেলে রেখে তারা পালিয়ে যায়। 

পরদিন ২৮ ফেব্রুয়ারি সকালে ওই কিশোরীর বোন কৌশলে ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে আম বাগানে গিয়ে তাকে খুঁজে পায়। এরপর দুজন মিলে পথ হারিয়ে জেলার রাণীশংকৈল উপজেলার মহারাজা বাজারে যায়। পরে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে বিকেলে তাদের উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসে। 

ঠাকুরগাঁও সদর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তানভিরুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার চারজন তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে। বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে ঠাকুরগাঁও জেলা কারাগারে পাঠানো হয়েছে। 

নাহিদ রেজা/আরএআর