আশুলিয়ায় ইউপি সদস্য ও থানা যুবলীগের আহ্বায়ক গ্রুপের সংঘর্ষে ২০ জন আহত হয়েছেন

সাভারের আশুলিয়ায় ঝুট ব্যবসা দখলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ২ জন আটকসহ ১৭টি মোটরসাইকেল ও একটি পিকআপ জব্দ করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (২ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে আশুলিয়ার ভাদাইল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের পরিচয় পাওয়া না গেলেও আহতদের সবাই যুবলীগ নেতা কবির সরকারের সমর্থক বলে জানা গেছে।

এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে সকালে ওই এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য থানা যুবলীগের একটি গ্রুপ মোটরসাইকেল বহর নিয়ে যায়। এ সময় এলাকাবাসীর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে এলাকাবাসী মসজিদের মাইকে ডাকাত পড়েছে ঘোষণা দিয়ে যুবলীগের মোটরসাইকেলের বহর ঘেরাও করে। এ সময় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় যুবলীগের প্রায় ২০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে এলাকাবাসী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, স্থানীয় ইউপি সদস্য সাদেক ভুইয়া ও আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির সরকারের সমর্থকদের মধ্যে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

আশুলিয়া থানা যুবলীগের আহ্বায়ক কবির হোসেন সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি ডিইপিজেডের ভেতরে এক্সপেরিয়েন্স লিমিটেড নামে একটি কারখানায় গত তিন বছর ধরে ব্যবসা করে আসছি। সোমবার ছাদেক ভুঁইয়ার ছেলে ওই কারখানায় গিয়ে আমার শ্রমিকদের বের করে দেয়। এ ঘটনা আমি থানায় জানায়। আমার ম্যানেজার ভয় পাওয়ায় আজ কয়েকটি মোটরসাইকেলসহ আমার লোকজন ম্যানেজারকে কারখানায় পৌঁছে দিতে যায়। এ সময় পেছন থেকে সাদেক ভুঁইয়ার লোকজন হামলা করে।

ধামসোনা ইউপি সদস্য ছাদেক ভুঁইয়া ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমি সকালে নাস্তা করছিলাম। এ সময় ২০ থেকে ২৫টি মোটরসাইকেলসহ দুই থেকে তিনশ লোক আমার বাড়িতে হামলা করে। এ সময় তারা ২-৩টি ফাঁকা গুলি করে। পরে আমি নিজেই মাইকে ঘোষণা দিয়ে বলেছি, আমার বাড়িতে ডাকাত পড়েছে। পরে এলাকাবাসী সমাবেত হলে হামলাকারীরা মোটরসাইকেল রেখে পালিয়ে যায়।

আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জিয়াউল ইসলাম ঢাকা পোস্টকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ১৭টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে। ঘটনা অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। 

মাহিদুল মাহিদ/এসপি