গুজবে ছুটলেন সাড়ে ৫ হাজার শ্রমিক
ফাইল ছবি
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাজী টিম্বার অ্যান্ড স মিলে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার (২ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার তারাব পৌরসভার বরপা এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ সময় স মিলটির পাশে থাকা অন্তিম নিটিং, ডাইং অ্যান্ড ফিনিশিং নামে পোশাক কারখানায় ‘আগুন লেগেছে’ এমন গুজবে শ্রমিকদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
জানা যায়, পোশাক কারখানার ভেতরে আগুনের ধোঁয়া গেলে ‘আগুন লেগেছে’ এমন আতঙ্কে সেখান থেকে বেরিয়ে যান শ্রমিকরা। এতে করে তাড়াহুড়ো করে কারখানাটির প্রায় সাড়ে ৫ হাজার শ্রমিক নিচে নেমে আসেন।
বিজ্ঞাপন
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, বরপা এলাকার হাজী টিম্বার অ্যান্ড স মিল নামের একটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। ওই প্রতিষ্ঠানে গাছ থেকে আসবাবপত্র তৈরির কাঠ প্রস্তুত করা হয়। মিলের পাশেই রয়েছে অন্তিম নিটিং, ডাইং অ্যান্ড ফিনিশিং কারখানা। আর ওই কারখানায় প্রায় সাড়ে ৫ হাজার শ্রমিক কাজ করেন।
মঙ্গলবার সাড়ে ১১টার দিকে মিল কর্তৃপক্ষের অবহেলায় কাঠের গুঁড়িতে হঠাৎ করে আগুন ধরে যায়। এ সময় আগুন চারদিকে ছড়িয়ে যেতে থাকে। আগুন প্রায় ২০ থেকে ৩০ ফুট উঁচুতে উঠে যায়। চারদিকে ধোঁয়া ছড়াতে থাকে। আগুনে পাশে থাকা অন্তিম নিটিং, ডাইং অ্যান্ড ফিনিশিং পোশাক কারখানায় আগুনের ধোঁয়া গেলে ‘আগুন লেগেছে’ এমন আতঙ্ক শ্রমিকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে।
বিজ্ঞাপন
একপর্যায়ে ‘আগুন’ ‘আগুন’ চিৎকার করে শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে তাড়াহুড়ো করে পোশাক কারখানা থেকে বেরিয়ে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের পাশে অবস্থান করেন। পরে কর্তৃপক্ষের সহযোগিতায় শ্রমিকরা বুঝতে পারেন পাশের স মিলে আগুন লেগেছে। পরে স্থানীয়রা এক ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
স্থানীয়রা অভিযোগ করে জানান, একটি রপ্তানিমুখী পোশাক কারখানার পাশে এ ধরনের মিল থাকাটা নিরাপদ নয়। এছাড়া মিলের কাঠের গুঁড়ি যেখানে-সেখানে ফেলে রাখছে। মিলের শ্রমিকরা কোনো প্রকার নিয়মনীতি না মেনে ধূমপান করছেন। প্রায় সময়ই আগুনের ঘটনা ঘটলেও এ ব্যাপারে কারো কোনো নজর নেই।
অন্তিম নিটিং, ডায়িং অ্যান্ড ফিনিশিং কারখানার পরিচালক (এইচআর এডমিন অ্যান্ড কমপ্লাইন্ড) দেলোয়ার হোসেন বলেন, পাশের মিলে আগুন লেগে ধোঁয়া আমাদের কারখানার ভেতরে গেলে শ্রমিকরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তবে কিছুক্ষণ পরে পুনরায় শ্রমিকরা কাজে যোগ দেন।
ডেমরা ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার ওসমান গনি বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান আগুন নেভানো হয়ে গেছে। তবে পোশাক কারখানায় আগুন লাগার গুজব ছড়ানো হয়েছিল। প্রকৃতপক্ষে স মিলে আগুন লেগেছে। সময়মতো আগুন নেভানোর কারণে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটেনি।
মাহবুবুর রহমান ভূঁইয়া/এমএসআর