প্রতিপক্ষের লোকজনের হামলায় আহত নেত্রকোণার দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সুব্রত সাংমার (৪০) মৃত্যু হয়েছে। শনিবার (৮ অক্টোবর) সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। 

দুগার্পুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিবিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

সুব্রত সাংমা দুর্গাপুর উপজেলার কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বহেরাতলী গ্রামের সুধীর মানখিনের ছেলে।

ওসি শিবিরুল ইসলাম জানান, শনিবার সকালে সাবেক চেয়ারম্যান সুব্রত সাংমা ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা গেছেন। মরদেহ এখনো দুর্গাপুর আসেনি। এ ঘটনায় সুব্রত সাংমার বোন কেয়া তজু বাদী হয়ে গত ৩০ সেপ্টেম্বর রাতেই দুর্গাপুর থানায় মামলা করেছিলেন। 

সুব্রত সাংমার মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ার পর প্রতিপক্ষের লোকজনের কিছু ঘরবাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভাঙচুর হয়েছে জানিয়ে ওসি বলেন, বর্তমানে শিবগঞ্জ বাজারে ৩০ জন পুলিশ মোতায়েন আছে এবং পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

পুলিশ ও সংশ্লিষ্ট একাধিক সূত্রে জানা গেছে, মোবাইলের কল রিসিভ না করার জের ধরে গত ২৯ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় কুল্লাগড়া ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আব্দুল আউয়ালের ভাই বদিউজ্জামান ও তার লোকজন একই ইউনিয়নের বহেরাতলী গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে কাজল মিয়াকে স্থানীয় রাশিমনি বাজারে পেয়ে ব্যাপক মারধর করেন। এ সময় তাদের বাধা দিতে এগিয়ে যান সাবেক চেয়ারম্যান সুব্রত সাংমা। বিষয়টি টের দেখে ছুটে আসেন স্থানীয় লোকজনও। 

এতে সুব্রত সাংমার প্রতি ক্ষুব্ধ হন প্রতিপক্ষের লোকজন। এরই জের ধরে একই দিন রাত ৮টার দিকে দুর্গাপুর পৌর শহরের শিবগঞ্জ বাজারের সুমেশ্বরী নদীর গোদারাঘাটে প্রতিপক্ষের লোকজন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সুব্রত সাংমার ওপর হামলা করে তাকে মারাত্মক জখম করে। তাকে উদ্ধার করে দুর্গাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানভ।

জিয়াউর রহমান/আরএআর