পিস্তল ঠেকিয়ে টাকা আদায়, রিমান্ডে ৩ পুলিশ সদস্য
কক্সবাজার জেলা জজ আদালত
কক্সবাজার শহরের সমিতিপাড়ায় বসতঘরে ঢুকে এক গৃহবধূর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে ৩ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার ঘটনায় জড়িত তিন পুলিশ সদস্যের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তাকে ‘ইয়াবা ব্যবসায়ী’ বলে হুমকি দিয়ে এ টাকা হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল পুলিশ।
কক্সবাজার কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক চন্দন সরকার ঢাকা পোস্টকে বলেন, তিন পুলিশ সদস্যকে ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। আদালতের বিচারক শুনানি শেষে ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় অভিযুক্ত তিন পুলিশকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। মঙ্গলবার (২ মার্চ) বিকেলে তাদের বরখাস্ত করা হয় বলে ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( প্রশাসন) মো. রফিকুল ইসলাম।
বরখাস্ত হওয়া তিন পুলিশ সদস্য হলেন- উপপরিদর্শক (এসআই) নুর হুদা ছিদ্দিকী, কনস্টেবল আমিনুল মমিন ও মামুন মোল্লা।
বিজ্ঞাপন
সোমবার রাতে শহরের মধ্যম কুতুবদিয়াপাড়ার ব্যবসায়ী রিয়াজ আহমদের স্ত্রী রোজিনা খাতুন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ মুনিরুল বলেন, গৃহবধূ রোজিনা খাতুন এই ছিনতাইয়ের শিকার হন। এ সময় স্থানীয়দের সহযোগিতায় এক এসআইসহ তিন পুলিশ সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, সোমবার বিকেলে কক্সবাজার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম কুতুবদিয়াপাড়ার রিয়াজ আহমদের স্ত্রী রোজিনা খাতুন গ্যাসের দোকান করার জন্য তার আত্মীয়স্বজন থেকে ৩ লাখ টাকা সংগ্রহ করে বাড়ি ফিরেন। সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ৫-৬ জন সাদা পোশাকধারী লোক তার বাড়িতে যান। পরে তাকে ‘ইয়াবা ব্যবসায়ী’ আখ্যা দিয়ে টাকা দাবি করেন। রোজিনা টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে মারধর করেন তারা।
একপর্যায়ে রোজিনা তার কাছে থাকা ৩ লাখ টাকা সাদা পোশাকধারী পুলিশের হাতে তুলে দেন। এ সময় রোজিনার চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। পরে অটোরিকশা থেকে একজনকে ধরে ফেলেন স্থানীয়রা।
পরে সরকারি হেল্পলাইনের ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে কক্সবাজার সদর মডেল থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে ওই ব্যক্তিকে থানা হেফাজতে নিয়ে যায়।
পরে কক্সবাজার জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ সবাইকে বিষয়টি অবগত করে তদন্ত শুরু করা হয়। একপর্যায়ে সোমবার রাতে এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তিন পুলিশ সদস্যসহ অন্য সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে দ্রুত বিচার আইনে মামলা নিতে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয় বলে ঢাকা পোস্টকে জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রফিকুল ইসলাম।
মুহিববুল্লাহ মুহিব/এমএসআর