প্রতি বছর বন্যার কারণে তিস্তা পাড়ের হাজার হাজার মানুষের ঘর-বাড়িসহ আবাদি জমি নদীতে বিলীন হয়ে যায়। এতে করে সর্বস্বান্ত হয় তিস্তা পাড়ে মানুষ। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে তিস্তা পাড়ের মানুষগুলো আলোর মুখ দেখবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জি‌মিং।

রোববার (৯ অক্টোবর) দুপুরে লালমনিরহাটের তিস্তা ব্যারেজ ও নীলফামারীর কমান্ড এলাকা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা জানান।

তিনি আরও বলেন, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সবদিক দিয়ে পরিবর্তন ঘটবে এই এলাকার। জীবন মান উন্নয়ন, অর্থনীতি, প্রকৃতি ও পরিবেশ যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ সর্বপরি মানুষের প্রতিটি ক্ষেত্রের। প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যারেজ এলাকার সম্ভাব্যতা যাচাই চলছে এবং দুই দেশের সরকারের প্রচেষ্টায় দ্রুত কাজ শুরু হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, তিস্তা পাড়ের মানুষগুলো কি চান সেটা আগে লক্ষ্য করা হচ্ছে। যেহেতু তিস্তা আন্তর্জাতিক নদী সেই কারণে লাভ ও ক্ষতি কি রকম হচ্ছে সেটিও বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে।

এসময় সঙ্গে ছিলেন, লালমনিরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতাহার হোসেন। 

তিনি বলেন, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার প্রচেষ্টায় আলোর মুখ দেখছে। তিস্তাকে নিয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং’কে দেখে মনে হলো তার মনোভাব পজিটিভ। আমরা আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে সু-খবর পাবো। তিস্তা পরিদর্শন করে তিনি অনেক খুশি হয়েছেন।
 
পরিদর্শন কালে পানি উন্নয়ন বোর্ড রংপুর অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আনোয়ারুল হক ভুইয়া, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী খুশি মোহন সরকার, পাউবো ডালিয়া বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আশফাউদৌলা প্রিন্স, ডিমলা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন উপস্থিত ছিলেন।

ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিংসহ ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি দল লালমনিরহাট, নীলফামারী, দিনাজপুর, রংপুর ও গাইবান্ধা জেলায় চীনা কোম্পানি কর্তৃক বিভিন্ন প্রকল্প পরিদর্শনের পাশাপাশি তিস্তা ব্যারাজ এলাকা পরিদর্শন করেন।
 
নিয়াজ আহমেদ সিপন/এমএএস