যশোর হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চলমান ডিপ্লোমা ইন হোমিওপ্যাথিক মেডিসিন অ্যান্ড সার্জারি (ডিএইচএমএস) পরীক্ষায় নকল করায় ছয় পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছে প্রশাসন। 

বৃহস্পতিবার (১৩ অক্টোবর) সকালে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে পরীক্ষা কেন্দ্রে অভিযান চালিয়ে নকলের প্রমাণ পান নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদুল হাসান।

বহিষ্কৃত ছয়জন হলেন, চতুর্থ বর্ষের সন্ধ্যা বিশ্বাস (রোল নম্বর ৫১৪১), মেহেদী হাসান (রোল নম্বর ৫২০০), রেশমা খাতুন (রোল নম্বর ৫১৯৩), দ্বিতীয় বর্ষের সহাদুর রহমান (রোল নম্বর ৩৮২৮), রোকসানা খাতুন (রোল নম্বর ৩৬৯২) ও রেহেনা খাতুন (রোল নম্বর ৩৭০২)।

জানা গেছে, যশোর হোমিওপ্যাথিক মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার ক্লাস রুমে নেওয়া হয় ডিএইচএমএস বার্ষিক পরীক্ষা। দুই শিফটে চলমান দ্বিতীয় ও চতুর্থ বর্ষের পরীক্ষায় ২৭৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন। গত তিন দিন ধরে এ পরীক্ষা চলছে। অভিযোগ ছিল বই খুলে পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন পরীক্ষার্থীরা।

বিষয়টি জানতে পেরে বৃহস্পতিবার সকালে পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে কেন্দ্রে অভিযান চালান যশোর জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান। এ সময় তিনি নকলের প্রমাণ পেয়ে ছয় পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ নকল করার সুযোগ করে দিচ্ছে। ফলে বিভিন্ন বয়সী মানুষ এসে নকল করে হোমিও চিকিৎসক হয়ে যাচ্ছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক পরীক্ষার্থী জানান, কিছু পরীক্ষার্থী শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত নকল করে পরীক্ষা দিচ্ছেন। কেউ বইয়ের পাতা ছিঁড়ে আনছেন কেউবা কাগজের টুকরায় উত্তর লিখে এনে পরীক্ষা দিচ্ছেন।

যশোর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা.হাফিজুর রহমান বহিষ্কারের কথা নিশ্চিত করে বলেন, বৃহস্পতিবার সকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পরিদর্শনে এসে ছয় পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করেছেন। পরীক্ষার হলে প্রবেশের পূর্বে পরীক্ষার্থীদের বারবার বলা সত্ত্বেও তারা গোপনে ক্লিপ বোর্ডের ভেতরে, শরীরের বিভিন্ন স্থানে শর্ট স্লিপ ও মোবাইল নিয়ে পরীক্ষার হলে প্রবেশ করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মাহমুদুল হাসান বলেন, পরীক্ষা কেন্দ্রে নকল করে পরীক্ষা দিচ্ছে এমন খবরে সেখানে পরিদর্শনে গিয়ে সত্যতা মেলে। এ সময় ছয় পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

এ্যান্টনি দাস অপু/এসকেডি