নিখোঁজ স্কুলছাত্র সূর্য ইসলাম

নীলফামারীর ডোমারে নিখোঁজের ২১ দিনেও সূর্য ইসলাম নামে পঞ্চম শ্রেণি পড়ুয়া এক স্কুলছাত্রের সন্ধান পাওয়া যায়নি। তার খোঁজ না পেয়ে পাগলপ্রায় বাবা-মা। অজানা শঙ্কায় দিন কাটছে স্বজনদের। 

গত ২২ সেপ্টেম্বর বাড়ির সামনের উঠানে খেলার সময় নিখোঁজ হয় সূর্য। পরে এ ঘটনায় ২৪ সেপ্টেম্বর সূর্যের বাবা নুর জামাল ডোমার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

সূর্য উপজেলার জোড়াবাড়ীর মির্জাগঞ্জ হাটের পাইকারপাড়া এলাকার নুর জামাল ও আশা দম্পতির বড় ছেলে। সে স্থানীয় একটি স্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। গায়ের রং ফর্সা, মুখমন্ডল গোলাকার, চুল লম্বা, চোখ বড় ও উচ্চতায় ৪ ফুট। তার ডান হাতে কাটার একটি দাগ আছে। হারিয়ে যাওয়ার  সময় তার পরনে ছিল হালকা কমলা রঙের থ্রি-কোয়াটার প্যান্ট এবং গোলাপি রঙের গোল গলা গেঞ্জি। কেউ তার সন্ধান পেলে ০১৩২০১৩৫৪৮০ নম্বরে ফোন করে ডোমার থানায় তথ্য দিয়ে সহায়তা করতে পারেন।

পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, গত ২১ সেপ্টেম্বর সকালে বাড়ির সামনের উঠানে খেলছিল সূর্য। মা আশা বেগম খেলতে দেখে তাকে ঘরে আসতে বলেছিল। তার একটু পর বেলা ১১টার দিকে তাকে বাড়ির আশপাশে কোথাও খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সে সময় পরিবারের লোকজন ধারণা করেছিল হয়তো পাড়ার কোনো ছেলের সঙ্গে খেলতে গেছে।তবে রাত হলেও ফিরে না আসায় পাড়া-প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজনদের বাসায় খোঁজ করা হয়। বিভিন্ন জায়গার খোঁজার পরও সূর্যকে পাওয়া না গেলে তার বাবা নুর জামাল ডোমার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।

সূর্যের মা আশা বেগম বলেন, ২১ দিন পেরিয়ে গেলেও এখনো ছেলেটার মুখ দেখতে পেলাম না। সূর্যকে না পেয়ে সবাই এক প্রকার মৃত হয়ে গেছি। ওর দাদি তো নাতির জন্য জন্য খাওয়া বন্ধ করে দিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছে। সবার কাছে অনুরোধ, আমার সন্তানকে খুঁজে দিন। একটা বার আমার সন্তানকে দেখতে চাই আমি।

ডোমার থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহামুদ উন নবী ঢাকা পোস্টকে বলেন, শিশুটির খোঁজে সব ধরনের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। সব থানায় তার নিখোঁজের তথ্য দেওয়া হয়েছে। আশা করছি দ্রুত সূর্যকে তার পরিবারের মাঝে ফিরিয়ে দিতে পারব।

শরিফুল ইসলাম/এসপি