জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমনের ফুটবল খেলা দেখতে এসে বিদ্যালয়ের টিনের ছাউনি ভেঙে পড়ে মো. খোরশেদ (২০) নামে এক তরুণের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার (১৪ অক্টোবর) বিকেল ৪টার দিকে উপজেলার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে ফুটবল খেলা শুরু হওয়ার পরপরই এ ঘটনা ঘটে।

নিহত খোরশেদ জয়পুরহাটের ক্ষেতলাল উপজেলার রামপুরা রানীপুকুর গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে। এ ঘটনায় আহত আরও চারজন হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।

জয়পুরহাটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম ঢাকা পোস্টকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। 

স্থানীয়রা জানান, পাঁচবিবি উপজেলার শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠে পাঁচবিবির রাধানগর খেলোয়াড় কল্যাণ সমিতির সঙ্গে ব্যারিস্টার সুমন ফুটবল একাডেমির খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এই প্রীতি ফুটবল খেলার আয়োজন করেন পাঁচবিবির বাসিন্দা মাছ ব্যবসায়ী মঞ্জুরুল ইসলাম। খেলা দেখতে আসা দর্শকরা মাঠের আশপাশের বাসা-স্কুলের ছাদ, টিনের চালা ও উঁচু গাছের মগডালে অবস্থান নেন। এ সময় মাঠের দক্ষিণ পাশে সমিরুন্নেছা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবনের পরিত্যক্ত একটি ঘরের টিনের ছাউনি ধসে পড়ে দর্শকের চাপে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত কয়েকজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিদ্যালয়ের ওই ভবনের টিনের চালায় ১৫০ জনের বেশি দর্শক বসে খেলা দেখছিলেন। খেলা শুরুর কয়েক মিনিট পর হঠাৎ দর্শকের চাপে টিনের চালা ভেঙে নিচে পড়ে। এতে ২০-২৫ জন আহত হন। তাদের মধ্যে গুরুতর আহত একজনকে পাঁচবিবি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে তিনি মারা যান। আহত আরও চারজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অন্যরা প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন।

ক্ষেতলাল পৌরসভার প্যানেল মেয়র জিল্লুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বারিস্টার সুমনের খেলা দেখতে গিয়ে টিনের ছাউনি ভেঙে পড়ে আহত খোরশেরদের মৃত্যু হয়েছে। তার বাড়ি আমার ওয়ার্ডেই। খোরশেদের বাবা অনেকদিন আগেই মারা গেছেন। তার বড় ভাই বিদেশে আছেন। এখন তার মা মেরিনার আর কেউ নেই। আগামীকাল শনিবার সকাল ১০টার দিকে খোরশেদের জানাজা হবে।

তিনি বলেন, ওই ঘটনায় একই গ্রামের খোরশেদের আরও দুই সহপাঠী শামীম (২১) ও আশরাফুল ইসলাম (২০) গুরুতর আহত হয়েছে। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য বগুড়ায় পাঠানো হবে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ নূরে আলম বলেন, নিহতের মরদেহ তার পরিবার বাড়িতে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় আরও চারজন আহত রয়েছেন। তারা হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

চম্পক কুমার/আরএআর