সবার সামনে পরিবেশন করা হলো খাবার। প্রথম দফায় খাওয়া শেষ হলে বসবে পরের দল। অন্যদিকে কনে পক্ষ অপেক্ষা করছে বরের জন্য। বর আসার আগেই বিয়ের আসরে উপস্থিত হন নোয়াখালীর সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ। ঘটনাস্থলে পৌঁছে বাল্যবিয়ে বন্ধ করেন তিনি। এ সময় কনের বাবার কাছ থেকে মুচলেকাও নেওয়া হয়।  

শনিবার (১৫ অক্টোবর) দুপুরে উপজেলার নেওয়াজপুর ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।  

বাল্যবিবাহের শিকার হতে যাওয়া ওই স্কুলছাত্রী (১৫) ফিরোজ শাহা মাইজভাণ্ডারী উচ্চ বিদ্যালয় থেকে সদ্য এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। সে সদর উপজেলার নেওয়াজপুর ইউনিয়নের এক  ইউপি সদস্যের (মেম্বার) মেয়ে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার নেওয়াজপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের স্কুলছাত্রী (১৫) মেয়ের বাল্যবিয়ের আয়োজন চলছিল। মধ্যপ্রাচ্যের ওমান প্রবাসী বর পার্শ্ববর্তী এলাকার বাসিন্দা। দুপুরের দিকে বর এবং বরযাত্রীর আসার জন্য অপেক্ষা করেছিলেন মেয়ের বাড়ির লোকজন। এ সময় সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ বিয়ে বাড়িতে উপস্থিত হন। এরপর ইউএনও নিজাম উদ্দিন আহমেদ সেই বিয়ে বন্ধ করে দেন এবং ১৮ বছরের পূর্বে বিয়ে দেবেন না মর্মে মুচলেকা নেন তার পরিবারের কাছ থেকে। ইউএনও আসার খবর শুনে বর আসেনি। 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিজাম উদ্দিন আহমেদ ঢাকা পোস্টকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন। 

তিনি বলেন, বাল্য বিবাহ হচ্ছে এই তথ্য পেয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়। কনের বাড়িতে ম্যাজিস্ট্রেট এসেছে শুনে বর আর আসেননি। অভিভাবকরা ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ার আগে বিয়ের কাজ সম্পন্ন করবেন না মর্মে  আদালতের নিকট মুচলেকা প্রদান করেন।

নিজাম উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, কনের বাবা একজন জনপ্রতিনিধি হয়েও নিজ কন্যার বাল্যবিবাহের আয়োজন আমাদের অবাক করেছে। সেখানে উপস্থিত সকলকে বাল্যবিবাহের কুফল ও এর আইনগত ব্যবস্থা সম্পর্কে সচেতন করা হয়েছে। বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। 

হাসিব আল আমিন/এসকেডি