জয়পুরহাট জেলা পরিষদ নির্বাচনে একটি ভোটও পাননি এমন আটজন রয়েছেন। তারা সবাই সাধারণ সদস্য প্রার্থী। এর মধ্যে এক প্রার্থী তার স্ত্রীর ভোটটিও পাননি।

সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত জয়পুহাটের পাঁচ উপজেলার পাঁচ কেন্দ্রে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের মাধ্যমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। বিকেলে ফলাফল ঘোষণা শেষে প্রিসাইডিং কর্মকর্তাদের স্বাক্ষরিত ফলাফলে এসব তথ্য জানা গেছে।

শূন্য ভোট পাওয়া সদস্য প্রার্থীরা হলেন- এক নম্বর ওয়ার্ডে (পাঁচবিবি) ফারুক হোসেন ইব্রাহিম (টিউবওয়েল), দুই নম্বর ওর্য়াডে (সদর) মাসুদ রানা রোজ (অটোরিকশা), তিন নম্বর ওর্য়াডে (কালাই) ছানোয়ার হোসেন ( টিউবওয়েল) ও সিনজুনুর রহমান (উঠপাখি), চার নম্বর ওর্য়াডে (ক্ষেতলাল) এস এম তুহিন ইসলাম তৌফিক (উঠপাখি) ও আজিজুল হক (ক্রিকেট ব্যাট), পাঁচ নম্বর ওর্য়াডে (আক্কেলপুর) গোলাম মোস্তফা (তালা) ও মাহমুদুল হাসান (হাতি)।

জানা গেছে, চার নম্বর ওয়ার্ডে ক্ষেতলাল উপজেলায় সাধারণ সদস্য পদের প্রার্থী হন আজিজুল হক। তার প্রতীক ছিল ক্রিকেট ব্যাট। এই প্রার্থীর স্ত্রী সাজেদা বেগম ক্ষেতলাল পৌরসভার সংরক্ষিত তিন আসনের (৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ড) একজন কাউন্সিলর। স্ত্রী ভোটার থাকলেও তিনি তার ভোটটিও পাননি। ভোট গ্রহণের সময় দুপুর ১২টার দিকে সাজেদা বেগম আঙ্গুলের ছাপ না মেলায় বিড়ম্বনার শিকার হন। তার হাতে মেহেদি ছিল। পরে হাত পরিষ্কার করে ভোট দেন তিনি।

জানতে চাইলে সদস্য প্রার্থী আজিজুল হক ঢাকা পোস্টকে বলেন, আমার প্রতীক ছিল, কিন্তু নির্বাচন করিনি। এজন্য স্ত্রীও ভোট দেয়নি।

স্ত্রী সাজেদা বেগম বলেন, নির্বাচনে দাঁড়ানোর পর দলের (আওয়ামী লীগ) মোট ৩ জন প্রার্থী সাধারণ সদস্য পদে মাঠে ছিল। এজন্য তিনি (আজিজুল হক) ভোট করেননি। তাই আমার ভোটটিও নষ্ট না করার জন্য অন্যত্র দিয়েছি।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী খাজা সামছুল আলম বিজয়ী হয়েছেন। সংরক্ষিত এক নম্বর ওর্য়াডে সাবিনা আকতার চৌধুরী ও দুই নম্বর ওর্য়াডে মিসেস রত্না রশিদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া পাঁচটি ওয়ার্ডে আবু সাঈদ আল মাহবুব চন্দন, রমজান আলী, রফিকুল ইসলাম, আব্দুল হান্নান মিঠু ও মাজহারুল আনোয়ার নির্বাচিত হয়েছেন। 

চম্পক কুমার/এসপি