রেজাউল করিমকে বৃহস্পতিবার কারাগারে পাঠানো হয়

টাঙ্গাইল জজ আদালতের নারী কর্মচারী‌কে উত্ত্যক্ত করায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অফিস সহকারীকে এক মা‌সের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম‌্যমাণ আদালত।

দণ্ডপ্রাপ্ত রেজাউল করিম জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের অভিযোগ ও তথ্য শাখার অফিস সহকারী কাম-কম্পিউটার হিসেবে চাকরি করেন। 

বৃহস্পতিবার (০৪ মার্চ) সকালে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। দুপুরে টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. মো. আতাউল গণি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার (০৩ ফেব্রুয়া‌রি) রা‌তে ভ্রাম‌্যমাণ আদালত বসিয়ে তাকে এক মাসের কারাদণ্ড দেন জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকা‌রী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. সালাহউদ্দিন আইয়ূবী।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, রেজাউল করিম সরকা‌রি কোয়ার্টারে থাকেন। তার পাশের কোয়ার্টারে থাকেন টাঙ্গাইল জজ আদালতের এক নারী কর্মচারী। ওই নারী কর্মচারীকে উত্ত্যক্ত করে আসছিলেন তি‌নি। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানান নারী কর্মচারী। তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে বুধবার রাতে ভ্রাম্যমাণ আদালতে রেজাউল করিমকে হাজির করলে দোষ স্বীকার ক‌রেন। পরে তাকে এক মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।

ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সালাহউদ্দিন আইয়ূবী ঢাকা পোস্ট‌কে ব‌লেন, সরকারি কোয়ার্টারে থাকা নারী‌কে উত্ত্যক্ত করায় রেজাউল করিমকে এক মা‌সের কারাদণ্ড দেওয়া হ‌য়ে‌ছে।

টাঙ্গাইলের জেলা প্রশাসক (ডিসি) ড. মো. আতাউল গণি বলেন, দণ্ডপ্রাপ্ত রেজাউল করিমকে চাকরি থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হবে।

অভ‌িজিৎ ঘোষ/এএম