বরগুনার তালতলীতে বিয়েবাড়িতে নারীদের বসা নিয়ে বরপক্ষের হামলায় কনের বাবাসহ ১৩ জন আহত হয়েছেন। এতে খাওয়া-দাওয়া না করেই বরের বাড়ি থেকে কনে নিয়ে চলে যান কনেপক্ষের লোকজন। গতকাল সোমবার (৩১ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার কাজিরখাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বরগুনা সদর উপজেলার নলটোনা ইউনিয়নের সোনাতলা এলাকার সোবাহান ঘরামীর মেয়ে রাবেয়ার সঙ্গে তিন দিন আগে তালতলী উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের কাজির খাল এলাকার ছবুর আকনের ছেলে রবিউল আকনের বিয়ে হয়। গত শুক্রবার (২৮ অক্টোবর) কনে বাড়ির আনুষ্ঠানিকতা শেষে বরের বাড়িতে কনে নিয়ে আসেন। এরপর কনে পক্ষের বউভাতের জন্য বরের বাড়িতে গতকাল বিকেলে আনুষ্ঠানিকতা শেষে কনে নিয়ে যাওয়ার দিন ধার্য করা হয়। সেই অনুযায়ী দুপুরে বরের বাড়িতে আসেন কনেপক্ষের ২৫ জন। 

বিকেল ৩টা পার হলেও কনে যাত্রীদের খাবার ব্যবস্থা করা হচ্ছিল না। ৩টার পর খাবার দেওয়ার মুহূর্তে নারী-পুরুষ একত্রে বসাতে নিষেধ করে কনেপক্ষ। এ সময় বরপক্ষ থেকে কনেপক্ষের নারীদের নিয়ে কটূক্তি করা হয়। এ নিয়ে বরপক্ষের সঙ্গে তর্কবির্তক শুরু হয়। একপর্যায়ে বরপক্ষের লোকজন কনেপক্ষের ওপর হামলা চালায়। হামলায় কনের বাবা সোবাহান ঘরামী, ফুফা মোস্তফা, ফুফি বিলকিচ, নানি হাজেরা ও বাবলিসহ ১৩ জন আহত হন। আহতদের তালতলী থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বরগুনা পাঠানো হয়েছে।

কনের চাচা মোহম্মদ আলী বলেন, আমরা দুপুরে বরপক্ষের বাড়িতে যাই। কিন্তু বিকেল ৩টার দিকেও আমাদের খাবার দেওয়া হয়নি। পরে খাবার দেওয়ার পূর্ব মুহূর্তে নারীদের ও পুরুষদের একসঙ্গে বসাতে নিষেধ করলে তারা নারীদের নিয়ে  কটূক্তিমূলক কথা বলে। এর প্রতিবাদ করলে তারা আমাদের ওপরে হামলা চালায়। কনের বাবাকে মারধর করে জামাকাপড় ছিঁড়ে ফেলে জামাই রবিউল।

বর রবিউলের বাবা সবুর আকন বলেন, আমরা যেটা করেছি তা ভুল করেছি। রাতে কনেপক্ষের কাছে ক্ষমা চাওয়া হয়েছে। চেয়ারম্যান বিষয়টি জানেন। তিনি উভয়পক্ষকে ডেকে বিষয়টি সমাধান করবেন। 

এ বিষয়ে তালতলী থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, বিয়ে বাড়িতে ঝামেলার কথা শুনে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। আহতদের পক্ষে কেউ থানায় অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

খান নাঈম/আরএআর